সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
স্পাইসজেটের প্রধান মরে গেলেও কিছু যায়-আসে না। এমন মন্তব্য করে তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিল সুপ্রিম কোর্ট। গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ক্রেডিট সুইস এজি-র পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আগেই স্পাইসজেটকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু অভিযোগ, সেই নির্দেশ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। সেই কারণেই আদালতে ভর্ৎসিত হয়েছেন বিমান সংস্থাটির প্রধান।
স্পাইসজেটের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় সিংহকে মাসিক কিস্তিতে ৫ লক্ষ ডলার দিতে বলা হয়েছিল। ওই পরিমাণ টাকাই স্পাইসজেটের থেকে পাওনা সুইস সংস্থাটির। তার সঙ্গে ঋণখেলাপির জরিমানা হিসাবে আরও ১০ লক্ষ ডলার দেওয়ার নির্দেশ ছিল। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি আশানুদ্দিন আমানুল্লাহের ডিভিশন বেঞ্চ স্পাইসজেটের প্রধানের উদ্দেশে বলে, ‘‘আমাদের এ বার পরবর্তী কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। আপনার সংস্থা বন্ধ হয়ে গেলেও আমরা তা নিয়ে ভাবিত নই। আপনি মরে গেলেও কিছু যায়-আসে না। আপনি টাকা না দিলে এ বার আমরা আপনাকে তিহাড় জেলে পাঠিয়ে দেব।’’
সুপ্রিম কোর্ট স্পাইসজেটের চেয়ারম্যান এবং সেক্রেটারিকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং দ্রুত পাওনা টাকা মিটিয়ে দিতে বলেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর।
স্পাইসজেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুইৎজ়ারল্যান্ডের এসআর টেকনিক্স নামের একটি সংস্থার কাছ থেকে বিমান মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একাধিক পরিষেবা গ্রহণ করেছিল বিমান সংস্থাটি। এই সংক্রান্ত ১০ বছরের একটি চুক্তিও তাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ২০১১ সালে। চুক্তি অনুযায়ী, পরিষেবা বাবদ এসআর টেকনিক্সের পাওনা টাকা ক্রেডিট সুইসকে দেওয়ার কথা স্পাইসজেটের। টাকা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা।
গত ২৫ জুলাই টাকা মেটানোর জন্য সময় বাড়িয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। অভিযোগ, এত দিনে যে পরিমাণ টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল, তত টাকা জমা দেয়নি স্পাইসজেট। বিমান সংস্থাটিকে অবিলম্বে এই বিতর্ক মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।