এ বার স্পাইসজেটকে দেউলিয়া আদালতে নিয়ে গেল তাদের বিমান ইজারাদার এয়ার-ক্যাসল। ফাইল ছবি।
সংস্থা আর্থিক দায় বহনের ক্ষমতা হারিয়েছে দাবি করে সম্প্রতি দেউলিয়া আদালতে (এনসিএলটি) গিয়েছে বিমান সংস্থা গো ফার্স্ট। যাতে পুনরুজ্জীবনের ব্যবস্থা করে সংস্থাকে বাঁচানো যায়। এ বার আর এক সংস্থা স্পাইসজেটকে দেউলিয়া আদালতে নিয়ে গেল তাদের বিমান ইজারাদার এয়ার-ক্যাসল। আয়ারল্যান্ডের সংস্থার আর্জি,স্পাইসের বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এনসিএলটিতে দু’টি সংস্থারই শুনানি আগামী সপ্তাহে।
স্পাইসের মুখপাত্রের দাবি, এয়ার-ক্যাসলের কোনও বিমান এখন তাঁদের কাছে নেই। সবক’টি ফেরত দেওয়া হয়েছে। বিমান ভাড়া বাবদ টাকা বকেয়া কি না, তা অবশ্য জানাননি তিনি। তবে স্পাইসের আশ্বাস, এর জেরে পরিষেবা ব্যাহত হবে না। কিন্তু আশঙ্কা দানা বেঁধেছে এনসিএলটির সাইট থেকে এটা জানার পরে যে, সংস্থাটির বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার আরও দু’টি আবেদন জমা রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে কার্লাইল অ্যাভিয়েশন পার্টনার্স স্পাইসের ৭.৫% হাতে নিয়েছে। যা তাদের ঋণ ১০ কোটি ডলার (প্রায় ৮১৭.৮০ কোটি টাকা) কমিয়েছে।
এ দিকে, গো ফার্স্ট ১২ মে পর্যন্ত সব উড়ান বাতিল করেছে। ইতিমধ্যেই সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত কর্মীরা। বহু পাইলট এবং কেবিন ক্রু এয়ার ইন্ডিয়ায় কাজের জন্য আবেদন করতে ছুটেছেন। এ দিন দিল্লির এক হোটেলের বাইরে এয়ার ইন্ডিয়ায় পাইলটের চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে আসা গো ফার্স্টের এক পাইলট বলেন, সংস্থা এমন ভাবে চলছিল, যেন সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে তাঁদের জন্য এটা বিরাট ধাক্কা।