ছবি পিটিআই।
দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে আজ কেন্দ্র এবং রাজ্যকে তুলোধোনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলেছে, মানুষকে কেন গ্যাস চেম্বারের মধ্যে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। আদালতের ভর্ৎসনা, এ ভাবে না মেরে বরং ১৫টি ব্যাগে বিস্ফোরক এনে এক বারে সকলকে মেরে ফেলা হোক। বায়ুদূষণে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত, রাজ্য সরকারগুলি কেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেবে না, সেই প্রশ্নও তুলেছে শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের বেঞ্চ আজ বলেছে, দূষণের জেরে কয়েক লক্ষ মানুষকে ‘দমবন্ধ’ পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। তাঁদের আয়ু কমে যাচ্ছে। রাজধানীর পরিস্থিতিকে ‘নরক’ আখ্যা দিয়ে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে এই রকম ব্যবহার করছেন? তাঁদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন?’’ বিচারপতি মিশ্র বলেন, ‘‘বিশ্ব আমাদের দেখে হাসছে। মানুষকে কেন গ্যাস চেম্বারের মধ্যে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে? তার চেয়ে ১৫ ব্যাগ বিস্ফোরক এনে এক বারে সকলকে মেরে ফেলা হোক। এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে, তা হলে ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে এক বারে মরে যাওয়া ভাল।’’
দূষণের জেরে দিল্লির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। দূষণ রুখতে দিল্লি ও কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্ট বার বার নির্দেশ দিলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিচারপতি মিশ্র বলেন, ‘‘কেন্দ্র এবং রাজ্য একে অন্যকে দায়ী করছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ব্যাপার। আদালতের চোখের সামনেই এ সব হচ্ছে। এটা দায় ঝেড়ে ফেলার খেলা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’ দিল্লিতে বায়ুদূষণের জন্য কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের অবহেলাকে দায়ী করার পাশাপাশি, কৃষকদেরও দায়ী করেছে শীর্ষ আদালত।
রাজধানীর দমকল বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, বায়ুদূষণের মোকাবিলায় শনি ও রবিবার দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ লক্ষ লিটারের বেশি জল ছড়ানো হয়েছে।