হাসপাতাল চত্বরেই মৃত্যু ঋষির।
অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন সঞ্জয় পান্দ্রে। কিন্তু চিকিৎসা পাওয়া তো দূর অস্ত্, চিকিৎসক বা কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর দেখা না মেলায় হাসপাতাল চত্বরেই অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। আর অপেক্ষা করতে করতেই মায়ের কোলে মৃত্যু হয় পাঁচ বছরের ঋষির। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে।
ছেলে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মা-বাবার চোখের সামনেই মারা গেল। আর অসহায়ের মতো দেখলেন তাঁরা। সঞ্জয়ের অভিযোগ, অসুস্থ ছেলেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী কেউই ছিলেন না। তাঁদের জন্য হাসপাতাল চত্বরেই অপেক্ষা করতে থাকেন। ছেলের শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছিল। কিন্তু বহু খুঁজেও কোনও চিকিৎসকের দেখা পাননি।
এই ঘটনায় সে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিকাঠামো এবং পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঋষির মৃত্যুর পরই স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসক এলে তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়, কোথায় ছিলেন? ওই চিকিৎসক জানান, তাঁর স্ত্রী আগের দিন উপোস করেছিলেন। তাই তাঁর আসতে দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকের এমন যুক্তিতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা।
শিশুমৃত্যুকে ঘিরে জবলপুরে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে নামেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বানানো হয়েছে। শুরু থেকেই কোনও চিকিৎসককে ঠিক মতো পাওয়া যায় না। এমনকি শিশুটির মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেও চিকিৎসকের বা স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ।