বহিষ্কৃত আইএএস পূজা খেড়কর। — ফাইল চিত্র।
জালিয়াতি মামলায় এ বার সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন প্রাক্তন প্রশিক্ষণরত আইএএস পূজা খেড়কর। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও করা যাবে না।
বুধবার আদালতে বিচারপতি বিভি নাগারথেনা এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্রের বেঞ্চ পূজাকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত পূজাকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে পূজার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। দিল্লি সরকার এবং ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)-কেও এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পূজার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। গ্রেফতারি এড়াতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পূজা। অতীতে সেই মামলায় রক্ষাকবচ দিলেও গত বছরের শেষে সেই রক্ষাকবচ তুলে নেন বিচারপতি। একই সঙ্গে আদালত জানায়, পূজা শুধু ইউপিএসসি-র সঙ্গে নয়, গোটা দেশের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করেছেন! এ বার সুপ্রিম কোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেলেন পূজা।
মহারাষ্ট্রের পুণের অতিরিক্ত জেলাশাসক হিসাবে নিযুক্ত পূজার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়িতে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিকার, লালবাতি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া অতিরিক্ত জেলাশাসকের কক্ষ ‘দখল’ করা এবং জেলাশাসকের সহকারীর কাছে বেআইনি দাবিদাওয়া পেশ করে সেই দাবি পূরণের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেখান থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। তার পর পূজার একের পর এক ‘কীর্তি’ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে! জানা যায়, ইউপিএসসি পরীক্ষায় সংরক্ষণের সুবিধা পেতে ভুয়ো প্রতিবন্ধী শংসাপত্রের আবেদন করেছিলেন তিনি। দু’বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় সেই ভুয়ো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমাও দেন তিনি। এক বার দৃষ্টিশক্তির সমস্যার কথা উল্লেখ করে, আর দ্বিতীয় বার মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে। তবে নিয়োগের আগে ২০২২ সালে এমসে প্রতিবন্ধকতার পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হলেও ছ’বার নানা অজুহাতে পূজা তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এত গলদ সত্ত্বেও তিনি কী ভাবে চাকরি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।