Supreme Court

সদগুরুর আশ্রমের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, তলব স্টেটাস রিপোর্ট

দুই মহিলার ‘মগজধোলাই’ করে আশ্রমে রেখে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৩৫
Share:

জগ্গি বাসুদেব (সদগুরু)। —ফাইল চিত্র।

জগ্গি বাসুদেব (সদগুরু)-র আশ্রমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সদগুরুর আশ্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর দুই কন্যাকে ‘ওই আশ্রমে থেকে যাওয়ার জন্য মগজধোলাই’ করা হয়েছিল। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও দুই কন্যাকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে আগে মামলা চলছিল মাদ্রাজ হাই কোর্টে। কোয়মবত্তূর অবস্থিত সদগুরুর ওই আশ্রমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। হাই কোর্টের সেই নির্দেশের উপর বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।

Advertisement

হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সদগুরুর প্রতিষ্ঠান। তাদের বক্তব্য ছিল, হাই কোর্টের নির্দেশের পর মঙ্গলবার আশ্রমে প্রায় কয়েকশো পুলিশকর্মী প্রবেশ করেছিলেন। বৃহস্পিতবার ওই মামলায় তামিলনাড়ু পুলিশকে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি হাই কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুলিশ বর্তমানে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, দু’জনের ‘মগজধোলাই’ করে প্রতিষ্ঠানে রেখে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করেছে সদগুরুর প্রতিষ্ঠান। তাঁরা দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। বর্তমানে এক জনের বয়স ৩৯ এবং অন্য জনের ৪২ বছর। প্রতিষ্ঠানের দাবি, তাঁরা উভয়েই স্বেচ্ছায় সেখানে রয়েছেন। হাই কোর্টেও দু’জনকে পেশ করা হয়েছিল। সেখানে ওই দুই মহিলা একই কথা জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারও ওই দুই মহিলার মধ্যে একজন ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন শীর্ষ আদালতে এবং জানান তাঁরা স্বেচ্ছায় আশ্রমে রয়েছেন। পরে চেম্বারে গিয়ে দু’জনের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতিরা। কিছু ক্ষণ পরে ফিরে এসে প্রধান বিচারপতি জানান, ওই দুই মহিলা যখন আশ্রমে গিয়েছিলেন তখন তাঁদের বয়স ছিল ২৪ বছর এবং ২৭ বছর। উভয়েই স্বেচ্ছায় সেখানে থাকছেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement