আসারাম বাপু। —ফাইল চিত্র।
শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি দিয়ে জামিন চেয়েছিলেন ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দিল না। আসারামকে রাজস্থান হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
২০১৩ সালে নিজের আশ্রমে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে আসারামের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে রাজস্থানের জয়পুরের একটি আদালত আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২২ সালে রাজস্থান হাই কোর্টে জামিনের আর্জি জানান আসারাম। উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দিলে ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে আসারামের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালতও।
জামিন এবং সাজায় স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আসারাম। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, আসারামের হৃদ্রোগের সমস্যা রয়েছে। তাই তাঁকে বন্দি অবস্থাতেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা গ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া হোক। এর পাশাপাশি তিনি জানান, আসারামের বয়স ৮০, তিনি দীর্ঘ ৯ বছর জেলে বন্দি। তাই এ বার তাঁকে মুক্ত করা হোক। বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত আসারামের আইনজীবীকে রাজস্থান হাই কোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি আসারামের আর্জিটি শোনার জন্য রাজস্থান হাই কোর্টকেও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।