Supreme Court of India

karnataka high court: বিচারপতিকে নির্দেশ শুনানি পিছোনোর

বিচারপতির মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট এডিজি সীমন্তকুমার সিংহ ও কর্নাটক সরকার।

Advertisement
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২২ ০৬:৩১
Share:

ফাইল চিত্র।

বিজেপি শাসিত কর্নাটকের দুর্নীতি দমন শাখা ‘টাকা তোলার কেন্দ্র’ হয়ে গিয়েছে বলে নির্দেশে জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জানান, দুর্নীতি দমন শাখার এডিজি প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। তিনি ‘কলঙ্কিত’ অফিসার। অন্য এক বিচারপতিকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন বলেও মন্তব্য করেন কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি এইচ পি সন্দেশ। আজ সেই বিচারপতি এইচ পি সন্দেশকে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি তিন দিন পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

অন্য দিকে বিচারপতি সন্দেশের অভিযোগ ও অন্য কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিজেপির বিরুদ্ধে বিচারবিভাগে প্রভাব খাটানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র ও আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।

সম্প্রতি কর্নাটকের দুর্নীতি-দমন শাখার হাতে গ্রেফতার এক ব্যক্তির জামিনের আবেদনের শুনানির সময়ে বিচারপতি সন্দেশ বলেন, ‘‘এই তদন্তকারী সং স্থা টাকা তোলার কেন্দ্র হয়ে গিয়েছে। শুনেছি সংস্থার এডিজি উত্তর ভারতের লোক ও প্রভাবশালী। এক বিচারপতিকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে বলে অন্য এক বিচারপতির কাছে শুনেছি। কিন্তু আমি বিচারবিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তাতে আমার বিচারপতি পদ চলে গেলেও পরোয়া করি না।’’ এর পরে সংশ্লিষ্ট এডিজিপি-র সম্পর্কে গোপন সরকারি রিপোর্ট আদালতে পড়েন তিনি। ওই এডিজি-কে ‘কলঙ্কিত’ অফিসারও বলেন।

Advertisement

বিচারপতির মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট এডিজি সীমন্তকুমার সিংহ ও কর্নাটক সরকার। এ দিন সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটকের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, এডিজি সম্পর্কে ওই মন্তব্য এড়ানো যেত। সীমন্তের আইনজীবী অমিত কুমার জানান, তাঁর মক্কেলের বক্তব্য না শুনেই তাঁর সম্পর্কে গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্য আদালতে পাঠ করা হয়েছে। কিছু নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই আর্জিগুলি বুঝতে সময় লাগবে। তাই হাই কোর্টের শুনানি তিন দিন পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

বিচারপতি সন্দেশের বক্তব্য ও সাম্প্রতিক অন্য কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে আজ বিজেপিকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার প্রভাব খাটিয়ে ও হস্তক্ষেপ করে বিচারবিভাগকে পদানত করতে চাইছে। বিচারবিভাগে অন্তর্ঘাত ঘটাতে চাইছে বিজেপিও।’’ নাম না করে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ যথা সময়ে হস্তক্ষেপ করার ফলেই ওই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলানো গিয়েছিল। তার পরে বিজেপির তরফে বিচারপতিদের ট্রোল করা হয়। ‘বিশিষ্ট জনে’রা একটি চিঠি পাঠান।’’ সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা জানান, রায়ের পরে বিচারপতিদের উপরে ব্যক্তিগত আক্রমণ হলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে। সে কথাও উল্লেখ করেছেন সিঙ্ঘভি। সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement