ফাইল চিত্র।
অন্যের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে উৎসবের আনন্দ করা চলবে না— বাজি নিয়ে মামলায় আজ স্পষ্ট ভাবে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ সঙ্গেই শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করা হয়নি। যেগুলিতে বেরিয়াম সল্টের ব্যবহার হয়, সেগুলি তৈরি, বিক্রি কিংবা পোড়ানো চলবে না।
দীপাবলির আগে সুপ্রিম কোর্ট আজ বাজির ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন স্তরের সরকারি আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চ বলেছে, বাজি নিয়ে তাঁদের নির্দেশ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়। তাঁদের কথায়, ‘‘নিষিদ্ধ বাজি তৈরি, বিক্রি কিংবা ব্যবহার নিয়ে যদি রাজ্য সরকার, রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তরফে কোনও গাফিলতি হয়— সে ক্ষেত্রে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ কমিশনার, পুলিশের উপ কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকেরা ব্যক্তিগত ভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন।’’ বিচারপতিরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের এই রায় অবহেলা করার চেষ্টা হলে তা নিয়ে কঠোর মনোভাব দেখাবে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট ক্ষোভ জানিয়ে বলেছে, বেরিয়াম সল্টের বাজি নিষিদ্ধ হলেও এগুলি তৈরি, পরিবহণ, বিক্রি ও ব্যবহার আটকায়নি। বিচারপতিরা মনে করছেন, রাজ্য সরকারগুলি আদালতের নির্দেশ পালনে বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছে না বা চোখ বন্ধ করে রেখেছে তারা। আদালত জানিয়েছে, উৎসবের নামে নাগরিকদের সুস্থ থাকার অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চলবে না। বিশেষত প্রবীণ ও শিশুদের শরীরে বাজির ক্ষতিকর প্রভাবের দিকে নজর দিতে হবে। গ্রিন ক্র্যাকারের নামে যে সব বাজি বিক্রি হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা। তাঁদের মতে, এতেও নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে। এই ধরনের বাজির প্যাকেটে নকল পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ উঠছে।