আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতিবাদ। ফাইল চিত্র।
চলতি সপ্তাহেই কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে রায় দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে ফের ‘দিল্লি চলো’র ডাক দেওয়া হল আন্দোলনকারী সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে।
নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির কাছে দীর্ঘদিন ধরেই ধর্নায় বসে রয়েছেন কৃষকেরা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগে তাঁরা পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও অন্য রাজ্য থেকে আরও আন্দোলনকারীকে ওই ধর্নায় যোগ দিতে উৎসাহ দিচ্ছেন বলে মত রাজনীতিকদের। কাল সুপ্রিম কোর্টে কৃষক আন্দোলন নিয়ে শুনানি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল কৃষক সংগঠনকে। দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল একটি কৃষক সংগঠন। কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। সেখানে হিংসায় চার কৃষক-সহ আট জন নিহত হয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘আরও কোনও কৃষক আন্দোলনের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। লখিমপুর খেরির মতো ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া যাবে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘যখন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে তখন যে বিক্ষোভ চলতে পারে না, সেটা আদালত জানিয়ে দিক। এমন হলে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে।’’
বিচারপতিরা বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ঘটলে কেউ দায় নেয় না। কেবল প্রাণ ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়।’’ বিচারপতিরা বলেন, ‘‘যখন আপনারা ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তখন আর আন্দোলন হতে পারে না। আপনারা কোর্টেও আসবেন, আন্দোলনও করবেন এটা হতে পারে না।’’ তাঁরা প্রশ্ন করেন, ‘‘সরকার জানিয়েছে তারা কৃষি আইন কার্যকর করছে না। সুপ্রিম কোর্টও ওই আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তা হলে আপনারা আন্দোলন করছেন কেন?’’