Siddique Kappan

যোগীরাজ্যে দু’বছর বন্দি কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের জামিনের আর্জি মঞ্জুর সুপ্রিম কোর্টে

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অভিযোগ, নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি (স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া) এবং কট্টরপন্থী গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কাপ্পানের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:২২
Share:

সিদ্দিক কাপ্পান। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

প্রায় দু’বছর ধরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে থাকা কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে।

Advertisement

২০২০-র ৫ অক্টোবর হাথরসে ধর্ষিতা ও নিহত দলিত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন দিল্লির মালয়ালম কাগজের সাংবাদিক কাপ্পান। পথে, মথুরায় তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধ ইউএপিএ আইনে (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) মামলা দায়ের করা হয়। যোগী আদিত্যনাথের সরকার অভিযোগ এনেছিল, কাপ্পানের সঙ্গে কট্টরপন্থী গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র ‘যোগাযোগ’ রয়েছে।

গত অক্টোবরে সাংবাদিক কাপ্পানের বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার পাতার চার্জশিট জমা মথুরা আদালতে জমা দেয় আদিত্যনাথের পুলিশ। সেখানে কাপ্পানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। বলা হয় নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির (স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া) সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কাপ্পানের। এমনকি, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে কাপ্পানের যোগাযোগের ‘প্রমাণ’ হিসাবে এক মালয়ালি সংবাদপত্রে কাপ্পানের লেখা ৩৬টি প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয় চার্জশিটে।

Advertisement

এর পর এক আদালত থেকে অন্য আদালতে ঘুরেছে মামলা। মথুরার আদালতে জামিনের আর্জি নাকচ হওয়ায় ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাপ্পান। সেখান থেকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চের বিচারপতি কৃষ্ণ পহলের বেঞ্চে। সেখানে আবেদন খারিজ হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য কাপ্পানের পাঁচ দিনের জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement