গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ব্রিটেনের রাজ পরিবারের সঙ্গে তাঁদের ‘সম্পর্ক’ প্রায় চার দশকের। প্রিন্স চার্লসের বিয়ের আমন্ত্রণপত্রও এসেছিল মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালাদের কাছে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবরে তাই শোকস্তব্ধ তাঁরা। পাশাপাশি, ব্রিটেনের নতুন রাজা হিসেবে চার্লসের সিংহাসনপ্রাপ্তি খুশি করেছে তাঁদের।
মুম্বই ডাব্বাওয়ালা অ্যাসোসিয়েশনের সুভাষ তেলেকর শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে আমরা শোকস্তব্ধ। আমরা সমস্ত ডাব্বাওয়ালারা তাঁর আত্মার শান্তিতে কামনা করছি।’’ পাশাপাশি ব্রিটেনের নয়া রাজা চার্লসকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন চার্লসের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কলের পাঠানো ২০১৯ সালের একটি চিঠি।
২০০৩ সালে রাজপরিবারের সঙ্গে ডাব্বাওয়ালাদের সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল তৎকালীন প্রিন্স চার্লসের হাত ধরেই। মুম্বইয়ে এসে ডাব্বাওয়ালাদের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেছিলেন তিনি। এক ডাব্বাওয়ালার কথায়, ‘‘একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা মুম্বইয়ে কাজ করছিলাম। কেউ আমাদের গুরুত্ব দিতেন না। চার্লস আমাদের কাছে আসার পরেই, গোটা পৃথিবী আমাদের ‘ম্যানেজমেন্ট গুরু’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল।’’
২০০৫ সালে চার্লসের সঙ্গে ক্যামিলা পার্কারের বিয়েতে মুম্বইয়ের দু’জন ডাব্বাওয়ালা, সোপান মারে আর রঘুনাথ মেডকে আমন্ত্রিতও ছিলেন! সে সময় রানি এলিজাবেথ তাঁদের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। চার্লসের বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ম এবং তাঁর স্ত্রী কেটের মুম্বই সফরের সময় তাঁদের জন্য উপহার নিয়েও গিয়েছিলেন ডাব্বাওয়ালারা।