ফাইল চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষ বা সিমেস্টারের পরীক্ষা বাতিল নিয়ে আজ কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছে তারা। ১০ অগস্ট ফের শুনানি হবে। ফলে আপাতত চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে অচলাবস্থা কাটল না।
করোনা অতিমারির মধ্যেও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কিন্তু মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য এই নির্দেশিকা মানতে রাজি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে, কয়েক জন পড়ুয়া-সহ কয়েক জন আবেদনকারী। গত কাল ইউজিসি এক হলফনামা দিয়ে জানায়, কয়েকটি রাজ্য যে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না নিয়েই ডিগ্রি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ইউজিসি-র নিয়মের বিরোধী। এতে উচ্চশিক্ষার মানে প্রভাব পড়বে। তবে যে সব পড়ুয়া সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা দিতে পারবেন না তাঁদের জন্য পরে বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
আজ শুনানিতে ইউজিসি-র তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা বলেন, ‘‘এমন ধারণা তৈরি হওয়া ঠিক নয় যে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে বলে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যাবে।’’ বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সদস্যেরা জানান, তাঁরা তেমন কোনও নির্দেশ দিচ্ছেন না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অবস্থানের পাশাপাশি এ নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি যে নির্দেশ দিয়েছে তাও পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। আবেদনকারীদের আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব অসম, বিহারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়াদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। বিচারপতিরা বলেন, এ নিয়েও আজ কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না। বিষয়টি নিয়ে ১০ অগস্ট শুনানি হবে।
জুনের শেষে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষা দফতর পড়ুয়াদের মূল্যায়নের বিষয়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অ্যাডভাইজ়রি পাঠিয়েছিল। তাতে বলা হয়, ৮০-২০ ফর্মুলায় মূল্যায়ন করে চূড়ান্ত বর্ষ এবং চূড়ান্ত সিমেস্টারের পড়ুয়াদের ফল প্রকাশ ৩১ জুলাই-এর মধ্যে করে দিতে। কিন্তু এখনও পরীক্ষা নিয়ে তথ্য পড়ুয়াদের কাছে নেই।