—প্রতীকী ছবি।
১৪ বছরের ধর্ষিতাকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই বিষয়ে বম্বে হাই কোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে। ২০২৩ সালে বম্বে হাই কোর্ট ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে করা গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মুম্বইয়ের সিওন হাসপাতালকে ওই নাবালিকার গর্ভপাত করানোর জন্য একটি টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট ওই ধর্ষিত নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। গর্ভপাত করানো হলে ওই নাবালিকার মানসিক এবং শারীরিক পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা যাচাই করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার প্রধান বিচারপতি এই মামলার শুনানিতে বলেন, “এটা খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা। আমরা আমাদের শিশুকে রক্ষা করব। প্রতিটি মুহূর্ত এখন ওর (নাবালিকা) জন্য জরুরি। নাবালিকার মা আদালতে জানান, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। তিন মাস পর যখন তাঁকে রাজস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়, তখন সে সন্তানসম্ভবা। ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পকসো মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তার পর গর্ভপাতের আর্জি জানিয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার।
সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী, বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে, এমনকি বিশেষ ক্ষেত্রেও গর্ভপাত করানোর সর্বোচ্চ সময়সীমা ২৪ সপ্তাহ। ধর্ষিতাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে বিশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাতে পারে কেবল আদালত।