Sonam Wangchuk

বন্দি বাস্তবের ‘র‌্যাঞ্চো’ সোনম ওয়াংচুক, লেহ-র কাছে ১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ সমর্থকদের

লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে লড়ছেন সোনম। তাঁর দাবি, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র চিন্তাভাবনা করুক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৪৪
Share:

সোনম ওয়াংচুক। — ফাইল চিত্র।

মিছিল করতে গিয়ে সোমবার মধ্যরাতে সিঙ্ঘু সীমান্তে আটক হয়েছেন পরিবেশ-কর্মী সোনম ওয়াংচুক। আটক হয়েছেন প্রায় ১৫০-র কাছাকাছি লাদাখবাসীও। এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে এ বার লেহ-র কাছে ১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা।

Advertisement

লেহ-র ফিয়াং শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে ১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বহু সমর্থক। সোনমকে আটক করার প্রতিবাদে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ চলে। অবরোধের জেরে রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে যায় শ’য়ে শ’য়ে গাড়ি। আটকে পড়ে ৫০টি মালবাহী ট্রাকও। চলে অবরোধ। দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে লাদাখের নেতৃত্বের সঙ্গে আরও এক বার আলোচনার জন্য কেন্দ্রকে আহ্বান জানাতে লেহ থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন সোনম। মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু রাত বাড়তেই সিঙ্ঘু সীমান্তে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হন সোনম-সহ প্রায় ১৫০ জন। তাঁদের মধ্যে বহু অশীতিপর মানুষও ছিলেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা অনুযায়ী তাঁদের আটক করা হয়। দিল্লি পুলিশের এই কাজের সমালোচনা করে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও। সমালোচনা শুরু হয়েছে আরও নানা মহলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘‘কৃষক আন্দোলনের মতোই এই চক্রব্যূহও এক দিন ভাঙা হবে। আপনার দর্পও সে দিন চূর্ণ হবে। লাদাখ কী চায়, আপনাকে এক দিন শুনতেই হবে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই লড়ছেন সোনম। তাঁর দাবি লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি নিয়ে কেন্দ্র আলোচনা করুক। লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক। লাদাখের জন্য একটি পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করা হোক। সেই সঙ্গে লেহ এবং কার্গিল জেলার জন্য পৃথক পৃথক লোকসভা আসনের বন্দোবস্ত করা হোক। এমনই নানা দাবি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন বাস্তব জীবনের ‘র‌্যাঞ্চো’। গত মাসেও সোনম কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, দাবি না মানা হলে ২৮ দিনের জন্য অনশনে বসবেন তিনি। এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে ২১ দিনের অনশনে বসেছিলেন ওয়াংচুক। শুধু নুন-জল ছাড়া কিছুই মুখে তোলেননি ওই ২১ দিন। দাবি ছিল একটাই, লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement