বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকারের এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করতে চলেছেন।
বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকারের এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করতে চলেছেন। গত বছর এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু হওয়ার পরেই স্বামী এর কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তখনই তিনি প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এর পর টাটা সন্সের হাতে এয়ার ইন্ডিয়া তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেও স্বামী তার সমালোচনা করেন। টাটা সন্স ১৮ হাজার কোটি টাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেতে চলেছে। তবে এর মধ্যে সরকারের ঘরে মাত্র ২,৭০০ কোটি টাকা আসবে। বাকি ১৫,৩০০ কোটি টাকা এয়ার ইন্ডিয়ার বকেয়া ঋণের একাংশ মেটাতে খরচ করবে টাটা সন্স। স্বামী আজ জানিয়েছেন, জনস্বার্থ মামলার পিটিশন তৈরি হচ্ছে। আইনজীবীরা কাজ করছেন।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, মোদী সরকার যখন এয়ার ইন্ডিয়ার পরে ভারত পেট্রোলিয়াম-সহ একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ বা বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই বাজপেয়ী সরকারের আমলে হিন্দুস্তান জিঙ্কের বিলগ্নিকরণের তদন্তের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ২০০২-০৩-এ বাজপেয়ী সরকারের আমলে হিন্দুস্তান জিঙ্কের বিলগ্নিকরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
সিবিআই প্রাথমিক তদন্তের পরে তদন্তে ইতি টানে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৭-য় মোদী সরকারের সময় সিবিআইয়ের বিশেষ অধিকর্তা, অধিকর্তা (প্রসিকিউশন) ও স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরের সুপারিশে প্রাথমিক তদন্তে ইতি টানা হয়। কিন্তু সিবিআইয়ের অতিরিক্ত অধিকর্তা, যুগ্ম অধিকর্তা, এসপি ও তদন্তকারী অফিসার এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সুপারিশ করেছিলেন। বাজপেয়ী সরকারের আমলের বিলগ্নিকরণ মন্ত্রী অরুণ শৌরি মোদী সরকারের কড়া সমালোচক বলে পরিচিত। নতুন করে সিবিআই মাঠে নামলে তাঁর দিকে তদন্তের তির ঘুরে যাবে কি না, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে।