দিল্লিতে অনশনে বসেছেন ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
যুদ্ধের কারণে মাঝপথে ডাক্তারি পড়া থামিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই চরম উদ্বেগে ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, এ দেশের মেডিকেল কলেজেই অবশিষ্ট ডাক্তারি পাঠ্যক্রম শেষ করার ব্যবস্থা করুক সরকার। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন।
নিজেদের দাবি নিয়ে দিল্লির রামলীলা ময়দানে পাঁচ দিন ধরে অনশনে কর্মসূচি শুরু করেছেন ওই ডাক্তারির পড়ুয়ারা। ২২ থেকে ২৭ জুলাই চলবে অনশন। পড়ুয়াদের সঙ্গে অনশনে বসেছেন তাঁদের অভিভাবকরাও।
ইউক্রেনের ডাক্তারি কলেজে তৃতীয় বর্ষে পড়তেন মহম্মদ আকিল রাজা। অনশনস্থলে বসে দাবি করলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করছি, ভারতেই আমাদের পড়ার ব্যবস্থা করা হোক। সরকারের উচিত আমাদের সাহায্য করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে আমাদের অনেক প্রত্যাশা।’’
গত মাসে এ দেশের মেডিকেল কলেজে ভর্তি নেওয়ার দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভে বসেছিলেন বেশ কয়েক জন ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়া। তাঁদের অভিভাবকদের সংগঠন পেরেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউক্রেন এমবিবিএস স্টুডেন্টস (পিএইউএমএস) বিবৃতি দিয়ে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বিষয়টি নিয়ে আগেও চিঠি লেখা হয়েছে। যদিও তা বিফলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সে কারণে এ বার অনশনে বসলেন পড়ুয়ারা।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তত ১৮ হাজার ডাক্তারি পড়ুয়া পড়াশোনা ছেড়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ হাজার ডাক্তারি পড়ুয়া ফাইনাল ইয়ারে পড়াশোনা করছিলেন, বলা হয়েছে পিএইউএমএসের দেওয়া বিবৃতিতে। সংগঠনের দাবি, দেশের ৬০০টি মেডিকেল কলেজে তাঁদের জায়গা দেওয়া হোক।
গত মার্চে ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের এ দেশের মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-ও প্রধানমন্ত্রীকে একই অনুরোধ জানিয়েছিল।