সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। — ফাইল চিত্র।
এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট আলোচনায় সে ভাবে দিশা তৈরি হয়নি। তবু মুর্শিদাবাদ জেলায় চর্চায় উঠে এসেছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নাম। দু’দলেরই একাংশে আলোচনা, শেষ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রটি সিপিএমকে যদি ছাড়ে কংগ্রেস, তা হলে সেলিমকে সেখানে প্রার্থী হিসাবে দেখা যেতেও পারে। সম্প্রতি তিনি নিজে এবং দলের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ঘনঘন এসেছেন এই কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ঘনঘন এসেছেন। তার পর থেকেই চর্চা শুরু।
যদিও বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস বা সিপিএমের কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। গত বৃহস্পতিবার হরিহরপাড়ায় মিছিলের শেষে সেলিমকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেলিমের উত্তর, ‘‘কংগ্রেস এক সঙ্গে চলার কথা বলেছে। সবটাই হবে জোট সঙ্গী ও শরিক দলের সঙ্গে কথা বলে।’’ যদি শেষ পর্যন্ত তা ঠিক হয়, তা হলে এ বারে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও দীপা দাশমুন্সি ও সেলিমের মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হবে না, বলছেন দু’দলেরই কয়েক জন নেতা-কর্মী। তাঁদের ধারণা, সেই আসনটি তখন কংগ্রেসকে ছাড়তেও পারে সিপিএম।
রাজনীতির কারবারিদের মতে, অঙ্ক কষেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বাম ও কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটে হুমায়ুন কবীর বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে দু'লক্ষের বেশি ভোট পান, যা প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট। তৃণমূলের আবু তাহের খান ৬,০৪,৩৪৬ ভোট পেয়ে জিতে যান। কংগ্রেস প্রার্থী আবু হেনা ৩,৭৭,৯২৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান প্রায় ১,৮০,৭৯৩ লক্ষ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে থাকেন। বাম-কংগ্রেসের দাবি, এ বারে এই এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি দখলে নিয়েছে তারা। বিজেপির প্রভাব সে ভাবে দেখা যায়নি। সে ক্ষেত্রে বাম-কংগ্রেস এক সঙ্গে লড়াই করলে গত বারের সংখ্যার নিরিখেই তারা তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে। আর সেলিম প্রার্থী হলে ভোট বাড়বে বলেই বিশ্বাস বাম-কংগ্রেসের।
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘আমরা এখনই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। যা হবে দু’দল বসেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘ভোটের আগে রাম, বাম, কংগ্রেস— সকলেই এমন দাবি করবে। আর ফল প্রকাশের পরে শুয়ে পড়বে।’’ বিজেপিরও দাবি, এ বার তাদের ভোট আরও বাড়বে।