যন্তর মন্তরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই
দিল্লি, মুম্বই, আমদাবাদ, লখনউ, বেঙ্গালুরু যখন উত্তাল, নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ বিদেশি অতিথির সঙ্গে ‘গাঁধী-দেড়শো’র বৈঠক করছেন। টুইট করে শোনাচ্ছেন গাঁধীর আদর্শ কতটা ছাপ ফেলেছে কর্তব্যবোধে। বঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার পথে নামছেন। আজ নেমেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরিরা। রাহুল গাঁধী বিদেশে, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এক বার বসেছিলেন ইন্ডিয়া গেটে। আজ কংগ্রেসের কিছু নেতাও ছিলেন বিক্ষোভে। কিন্তু এমন একটি জ্বলন্ত বিষয়ে বিরোধী-জোট কোথায়?
সনিয়া গাঁধীর বাড়িতে বসল কোর গ্রুপের বৈঠক। ছিলেন প্রিয়ঙ্কাও। সাফ বললেন, ‘‘রাস্তায় নামা জরুরি!’’ কংগ্রেস নেতারাও বুঝছেন, ছাত্ররাই পুরো আন্দোলনের রাশ হাতে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু দলগত ভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আহমেদ পটেল বললেন, ‘‘ছাত্রদের জন্য গর্বিত ভারত। সরকার যখনই সংবিধানের পথ থেকে সরেছে, ভারতের আত্মাকে তাঁরাই তুলে ধরেছেন। ছাত্ররাই আসল চৌকিদার। সঙ্কটে গাঁধীর পথই সমাধান।’’ কংগ্রেস আজ যুবকর্মীদের গাঁধী সাজিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজঘাটে। আগামিকাল কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ সভাপতিদেরও বলা হবে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করতে।
কিন্তু আজ এত ঘটনার পরেও আপাতত টুইটেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখলেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। দিল্লিতে মেট্রো, ইন্টারনেট বন্ধ করে ১৪৪ ধারার কড়া সমালোচনা করলেন। তবুও বললেন, ‘আওয়াজ যত চাপার চেষ্টা হবে, তত উঠবে। স্বাধীনতা সংগ্রাম তারই নির্দশন।’ বিদেশ থেকেই টুইট করেন রাহুল, ‘কলেজ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, মেট্রো বন্ধ করে, ১৪৪ ধারা জারির কোনও অধিকার নেই এই সরকারের।’ বিজেপির পাল্টা, ২০০৮ সালের মে মাস থেকে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউপিএ আমলে ১৩১৭ বার ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। ফলে রাহুল গাঁধী যেখানেই থাকুন, এমন অভিযোগ তুলবেন না।