মুম্বই বিমানবন্দর চত্বরে চাকরিপ্রার্থীদের ভিড়। ছবি এক্স (সাবেক টুইটার)
শূন্যপদ ৬০০। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হাজির হয়েছিলেন ২৫০০০ চাকরিপ্রার্থী। ভিড় এবং হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মুম্বই বিমানবন্দরে। সেখানেই এয়ার ইন্ডিয়ার ‘হ্যান্ডিম্যান’ পদে নিয়োগ চলছিল মঙ্গলবার। বিমানবন্দর থেকে বিমানে যাত্রীদের ব্যাগপত্র পৌঁছে দেওয়াই কাজ ‘হ্যান্ডিম্যান’দের। তাই কয়েকশো পদের জন্য কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী হাজির হয়েছিলেন। কে কার আগে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কাউন্টারে যাবেন, তা নিয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর তাতেই পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা হয় এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের।
কোনও বিমান সংস্থায় ‘হ্যান্ডিম্যান’দের কাজ হল মূলত যাত্রীদের মালপত্র বিমান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া ও নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা। শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি খুবই সাধারণ, তবে শারীরিক ভাবে দুর্বল হলে চলবে না। এই চাকরি পাওয়ার আশায় কেউ ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। কেউ বা আবার রাজস্থানের অলওয়ার থেকে পৌঁছে গিয়েছেন মায়ানগরী মুম্বইয়ে। চাকরি পাওয়ার জন্য ডিগ্রিধারীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এঁদের মধ্যে কেউ বিবিএ করছেন, কেউ স্নাতক, এমনকি স্নাতকোত্তর স্তরের আবেদনকারীরাও ছিলেন ওই ভিড়ের মধ্যে। অভিযোগ, আবেদনকারীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। শুধু তাই-ই নয়, খাবার, পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল না বলেও অভিযোগ।
মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলা থেকে চাকরির পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন প্রথমেশ্বর। বিবিএ করেছেন তিনি। চাকরি পেয়ে গেলে কি তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেবেন? প্রশ্ন শুনেই প্রথমেশ্বরের উত্তর, “কী করব বলুন তো! এত বেকারত্ব চার দিকে। সরকারকে বলব, আরও কর্মসংস্থান তৈরি করুন।”
অন্য এক চাকরিপ্রার্থী এসেছিলেন রাজস্থান থেকে। স্নাতকোত্তর শেষ হয়েছে। এখন সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক পরিচিতের থেকে শুনেছেন, এয়ার ইন্ডিয়া চাকরি দিচ্ছে, বেতনও মোটামুটি ঠিকঠাক। সেই শুনেই তিনি চলে আসেন মুম্বইয়ে।