NCP in Maharashtra

মহারাষ্ট্রের ‘ইন্ডিয়া’য় সুপবন! এনসিপি-ভাঙা অজিতকে ছেড়ে বহু নেতা ফিরলেন শরদের দলে

সম্প্রতি শরদ একটি বক্তৃতায় বলেছিলেন, যাঁরা তাঁর দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ফিরতে চাইলেও ফেরানো হবে না। কিন্তু যাঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না, তাঁদের দল ফিরিয়ে নিতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১১:০৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটে ভাল ফলের ‘সুফল’ এ বার মহারাষ্ট্রের ‘ইন্ডিয়া’তেও। এনসিপি ভেঙে রাজ্যের শাসক গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়া অজিত পওয়ারের দলে ভাঙন ধরেছে। দলের চার জন শীর্ষনেতা-সহ বহু নেতা মঙ্গলবারই ইস্তফা দিয়েছিলেন অজিতের এনসিপি থেকে। বুধবার তাঁরা যোগ দিলেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক শরদ পওয়ারের এনসিপিতে। পুণেতে শরদের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে প্রণাম করে দলে ফেরেন তাঁরা।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের শাসক গোষ্ঠীতে রয়েছে তিনটি দল— শিবসেনা ভেঙে তৈরি হওয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা বা ‘শিন্ডেসেনা’, বিজেপি এবং অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি। লোকসভা ভোটের আগে ২০২৩ সালে এনসিপি ভেঙে কয়েক জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে শাসক গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন অজিত। আদায় করে নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদটিও (তাঁর আগে এক জনই উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মহারাষ্ট্রের। তিনি বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস)। কিন্তু লোকসভা ভোটে অজিতের নেতৃত্বাধীন এনসিপি খারাপ ফল করে। তিন সাংসদ নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অজিত। তাদের মধ্যে এনসিপি কোনও রকমে একটি আসন ধরে রাখে। বাকি দু’টি হেরে যায়। অন্য দিকে, এক জন সাংসদ থাকা শরদের এনসিপি জেতে ৮টি লোকসভা আসন। খারাপ ফল করে শিন্ডেসেনা এবং বিজেপিও। আসন বৃদ্ধি পায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং কংগ্রেসের।

যে চার শীর্ষ নেতা অজিতের দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা হলেন এনসিপির পিঁপরি-চিঁচওয়াড় ইউনিটের প্রধান অজিত গাভানে, ওই ইউনিটেরই ছাত্রশাখার প্রধান যশ সানে এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর রাহুল ভোঁসলে ও পঙ্কজ ভালেকর। এঁরা প্রত্যেকেই শরদের এনসিপিতে ফিরেছেন বুধবার। ফিরেছেন আরও বহু কাউন্সিলর এবং নেতা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শরদ একটি বক্তৃতায় বলেছিলেন, যাঁরা তাঁর দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ফিরতে চাইলেও ফেরানো হবে না। কিন্তু যাঁরা তাঁর দলকে শক্তিশালী করেছেন এবং ভবিষ্যতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না বলে তিনি মনে করেন, তাঁদের দল ফিরিয়ে নিতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement