আগুন নেভানো চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)
থানার মধ্যে ছুটোছুটি করছেন পুলিশকর্মীরা, কারও হাতে বস্তা, কেউ আবার বালতি বালতি জল নিয়ে আসছেন বাইরে থেকে। সেই জল, বস্তা দিয়ে এক মহিলার গায়ের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক ভিডিয়ো (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) ।
জানা গিয়েছে, পারিবারিক বিবাদ মেটাতে মা এবং পুত্র থানায় এসেছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁর পুত্র। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের খাইর থানা এলাকার।
জমি সংক্রান্ত ঝামেলা মেটাতে মা এবং পুত্রকে ডেকে পাঠিয়েছিল খাইর থানা। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পুত্রকে নিয়ে থানায় হাজির হন হেমলতা নামে ওই মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই পারিবারিক এক সমস্যার কারণে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এমনকি, পুত্রের নামে থানায় এফআইআরও করেছিলেন হেমলতা। বিবাদ মেটাতে দু’পক্ষকেই ডেকে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপেও সমস্যার সমাধান মেলেনি। ফলে পুলিশের সামনেই দু’জনে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, সে সময়ই মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁর পুত্র গৌরব।
থানার সিসি ক্যামেরায় পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মহিলার গায়ে আচমকাই পেট্রল ঢেলে দেন এক যুবক। তার পর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মহিলার হাতে থাকা একটি লাইটার নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকেন ওই মহিলা। তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীরা সেই আগুন নিভিয়ে মহিলাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যত ক্ষণে তাঁরা আগুন নেভাতে সমর্থ হয়েছিলেন, তত ক্ষণে মহিলার শরীরের ৪০ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল।
অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় গৌরবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন জানান, থানার মধ্যেই মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন ছেলে। পারিবারিক জমি নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে ঝামেলা চলছিল অনেক দিন ধরেই। এফআইআরও দায়ের হয়। বিবাদ মেটানোর জন্য থানায় দু’জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে এমন কাণ্ড ঘটেছে। কয়েক জন পুলিশকর্মীও আগুনে জখম হয়েছেন।