ধোঁয়ায় ভরা বিমানের সেই ছবি। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
অবতরণের কিছু ক্ষণ আগে হঠাৎই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির আঁচ পান পাইলট। বেজে ওঠে ফায়ার অ্যালার্ম। কেবিন এবং ককপিট ভরে ওঠে ধোঁয়ায়। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এর পরেই দ্রুত পাইলট যোগাযোগ করেন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র সঙ্গে। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে আপৎকালীন অবতরণ করানো হয় তেলঙ্গানার হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে।
বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ) সূত্রের খবর, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ গোয়া থেকে হায়দরাবাদগামী স্পাইসজেটের উড়ানে ওই ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত, গত বছর কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরাগামী স্পাইসজেটের একটি বিমানে একই ধোঁয়া বেরোনোর ঘটনা ঘটেছিল। কয়েক মাস আগে জবলপুরের আকাশেও একই ঘটনা ঘটে।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কানাডার ডি হ্যাভিল্যান্ড সংস্থার নির্মিত ওই কিউ-৪০০ টার্বো-ইঞ্জিন বিমানে মোট ৮৬ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁর সকলেই অক্ষত রয়েছেন। ঘটনার জেরে ন’টি বিমানের যাত্রপথ বদল করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্পাইসজেটের ওই বিমানে থাকা এক জন যাত্রী ধোঁয়ায় ভরা কেবিন হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) টুইট করেছেন। তিনি লিথেছেন, ‘গোয়া থেকে হায়দরাবাদে ফিরছিলাম। যাত্রাবিরতির পর নাগপুর থেকে বিমানটি আকাশে উড়তেই ভিতর ধোঁয়ায় ভরে যায়।’