Uddhav Thackarey

Uddhav Thackeray: কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট ভেঙে এনডিএর সঙ্গী হোক দল, চাপ বাড়ছে উদ্ধবের উপর

মহারাষ্ট্রের জনজাতি ভোটের কথা মাথায় রেখে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, এর মাধ্যমে বিজেপির সঙ্গে শত্রুতা মেটানোর বার্তা দিতে চেয়েছে উদ্ধব শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২ ০৬:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

এনডিএ পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের পরে এ বার বিজেপির সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার জন্য দলে চাপ বাড়ছে উদ্ধব ঠাকরের উপর। দাবি উঠেছে, কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে জোট ভেঙে দিয়ে অতীতের মতো এনডিএ -র সঙ্গী হোক দল।

Advertisement

গতকাল দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পরে দ্রৌপদীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন উদ্ধব। মূলত মহারাষ্ট্রের জনজাতি ভোটের কথা মাথায় রেখে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, এর মাধ্যমে বিজেপির সঙ্গে শত্রুতা মেটানোর বার্তা দিতে চেয়েছে উদ্ধব শিবির। রাজনীতির অনেকের মতে, তিনি যে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলার প্রশ্নে উদগ্রীব, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গতকালের সিদ্ধান্তে। যদিও শিবসেনা শিবিরের ব্যাখা, এই প্রথম আদিবাসী সমাজ থেকে এক জন মহিলা রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন। তিনি যোগ্য। তাই তাঁর বিরোধিতা করা রাজনৈতিক ভাবে মূর্খামি হত। যদিও মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোটের অন্যতম শরিক শিবসেনা কেন ওইসিদ্ধান্ত নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শরিক কংগ্রেস।

একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের পরে কার্যত সরু সুতোর উপরে ঝুলে রয়েছে উদ্ধব ঠাকরের রাজনৈতিক ভাগ্য। দলের নাম ও প্রতীক উদ্ধব শিবিরের থাকবে কি না তা নিয়েও সংশয রয়েছে। সূত্রের মতে, এই পরিস্থিতিতে গতকাল দলীয় বৈঠকে মহাবিকাশ আগাড়ি জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর দাবিতে সরব হন সাংসদদের একাংশ। সূত্রের মতে, নাশিকের শিবসেনা সাংসদ হেমন্ত গড্‌সে গতকালের বৈঠকে বলেন, বিজেপি শিবসেনার স্বাভাবিক জোটসঙ্গী। কংগ্রেস ও এনসিপি তা হতে পারে না। কারণ, কংগ্রেস ও এনসিপি-এর বিরুদ্ধে লড়াই করেই শিবসেনার উত্থান হয়েছে। আগামী দিনে ওই জোট বজায় থাকলে শিবসেনা নেতারা টিকিট থেকে বঞ্চিত হবেন। সাংসদদের পক্ষ থেকে গত কাল বিজেপি বা সম্ভব হলে একনাথ শিন্ডের সঙ্গে রফা করে নেওয়ার প্রশ্নেও সওয়াল করা হয়। গড্‌সের কথায়, একনাথ শিন্ডে ফিরতে রাজি থাকলে উদ্ধব ঠাকরের বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে দেখা উচিত।

Advertisement

আগামী ২০২৪ সালে লোকসভার পরেই রাজ্যে বিধানসভায় নির্বাচন। আর অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের পরে রাজ্যে দলকে ধরে রাখাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ উদ্ধবের কাছে। এই আবহে দ্রৌপদীকে সমর্থনের ঘোষণা, ভবিষ্যতে বিজেপির সঙ্গে রফার পথে হাঁটার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement