ছবি: সংগৃহীত।
খাস যোগী আদিত্যনাথের গড় গোরক্ষপুর থেকে 'প্রতিজ্ঞা র্যালি' করে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা দিল্লি ফিরছিলেন। গতকাল লখনউ থেকে একই সময়ে দিল্লি আসছিলেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের নেতা জয়ন্ত চৌধরি। বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে জয়ন্তর বৈঠক বসল। কংগ্রেসের দুই নেতা ভূপেশ বঘেল ও দীপেন্দ্র সিংহ হুডাও ছিলেন। সেখানেই আলোচনায় ইতি পড়ল না। লখনউ-দিল্লি বিমানে জয়ন্তর টিকিট কাটা থাকলেও তা ছেড়ে তিনি কংগ্রেসের নেতানেত্রীদের সঙ্গে চার্টার্ড বিমানে চেপে বসলেন।
এক সপ্তাহ আগে দিল্লি থেকে লখনউ যাওয়ার পথে আচমকাই প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের দেখা হয়েছিল। হাই-হ্যালোর পরে প্রিয়ঙ্কা অখিলেশকে শুধু বলেছিলেন, ‘দেখা হচ্ছে’। কিন্তু কথাবার্তা বিশেষ এগোয়নি। কিন্তু গতকাল প্রিয়ঙ্কা-জয়ন্তের বৈঠকের পরে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। রাজনৈতিক শিবিরে দু'টি প্রশ্ন উঠেছে। এক, কংগ্রেসের সঙ্গে কি আরএলডি-র জোট হবে? দুই, জয়ন্ত কি কংগ্রেস, এসপি-র মধ্যে সেতুবন্ধন করবেন?
কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ বলয়ে চৌধরি চরণ সিংহ ও অজিত সিংহের দল নতুন করে অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে। অজিত-পুত্র জয়ন্ত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে একের পর এক কৃষকদের মহাপঞ্চায়েতে ঝড় তুলছেন। এতদিন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় লোক দলের জোট হবে বলে দুই দলের নেতারাই জানিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সমাজবাদী ও কংগ্রেসের মধ্যে জোটের সম্ভাবনা দুই দলের নেতারাই খারিজ করে দিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কা-জয়ন্তের বৈঠকের পরে রাষ্ট্রীয় লোক দলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠলেও জয়ন্ত তা খারিজ করে দিয়েছেন। অখিলেশ জানিয়ে দিয়েছেন, এসপি-র সঙ্গে আরএলডি-র আসন বণ্টনের আলোচনা শেষ পর্যায়ে। তিন দলের নেতারাই ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, জোট না হলে আখেরে বিজেপিরই সুবিধা। কিন্তু আসন রফার ক্ষেত্রে কেউই কাউকে সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ। সেখানেই জট কাটছে না।