রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
লকডাউন-পর্বে তিনি চূড়ান্ত সক্রিয়। নিয়মিত অর্থনীতিবিদ থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছেন। ভিডিয়ো কনফারেন্সেই আজ দ্বিতীয়বার সাংবাদিক বৈঠক করে তৃতীয়বারে আরও প্রশ্নের উত্তর দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন। প্রশ্ন উঠল, তিনি কি কংগ্রেস সভাপতি পদে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন?
রাহুল গাঁধী এক গাল হেসে উত্তর দিলেন, “এক বছর আগেই চিঠি লিখে আমার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছি।”
লোকসভা ভোটে হারের দায় নিয়ে রাহুল কংগ্রেস সভাপতি পদ ছেড়েছিলেন। খোলা চিঠিতে লিখেছিলেন, অনেক ক্ষেত্রেই মোদী-আরএসএসের বিরুদ্ধে তিনি ‘একা’ই লড়েছেন। ভোটে হারের জন্য অনেককে দায়বদ্ধ করা উচিত। তিনি নিজেই দায় নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ক্লান্তিতে রেললাইনে ঘুম, অওরাঙ্গাবাদে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত ১৬ শ্রমিক
২০১৯-এর জুলাইয়ের সেই চিঠির পরে আর কাউকে না পেয়ে ফের সনিয়া গাঁধীকেই অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে ফেরানো হয়। এখন করোনা-সঙ্কট ও লকডাউনের মধ্যে যে ভাবে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, রঘুরাম রাজনের সঙ্গে রাহুলের আলাপচারিতা তুলে ধরা হচ্ছে, তার মধ্যে রাহুলের ‘রিব্র্যান্ডিং’-এর চেষ্টা স্পষ্ট। রাহুল অবশ্য আজ নিজে দাবি করেছেন, তিনি অনেকের সঙ্গেই কথা বলেন। যার অনেক কিছু মনোগ্রাহী। সেটাই মানুষের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন। এর পিছনে অন্য কোনও ‘স্ট্র্যাটেজি’ নেই।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়েও রাজনীতি করছে বিজেপি, অভিযোগ
রাহুল আজ ফের কেন্দ্রের কাছে গরিবদের জন্য নগদ টাকা, ছোট-মাঝারি থেকে বড় শিল্পের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ও লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার স্পষ্ট পরিকল্পনা জানানোর দাবি তুলেছেন। তাঁর মতে, আর্থিক প্যাকেজ না দিলে চাকরি খোয়ানোর সুনামি আসবে। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘শুধু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হলে হেরে যেতে হবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)