ফাইল চিত্র
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে যাতে জেডিইউ বেশি আসন পায়, সেই উদ্দেশ্যেই ‘নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য’ ওই মন্তব্য করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বক্তব্য, না হলে বিহারে তৃতীয় হওয়া দলের নেতা কী করে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন? যদিও অনেকে মনে করছেন, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ওই চাল চেলে রাখল নীতীশ শিবির। ২০২৪ সালে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী করা হলে তিনি যে এনডিএ ছেড়ে দিতে পারেন, কৌশলে সেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন সনিয়া-মমতাদের।
সম্প্রতি দলের বৈঠকে নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি বলে মন্তব্য করেছিলেন দলের সংসদীয় বোর্ডের প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহা। কিন্তু এনডিএ-তে বিজেপির শরিক হয়ে নীতীশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী হওয়া কার্যত অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে জেডিইউয়ের মতো আঞ্চলিক দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে যে ইউপিএ ভরসা, তা বিলক্ষণ জানেন নীতীশ। মনে করা হচ্ছে, শিবির বদলানোর রেকর্ড করা নীতীশ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবেই সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে দিলেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আজ উপেন্দ্র বলেন, কেন নীতীশ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না? কোনও কিছুই অসম্ভব নয়!
বিজেপি শিবির মনে করছে, মূলত উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ওই মন্তব্য করেছেন নীতীশ অনুগামী। উত্তরপ্রদেশে প্রায় ১০-১২ শতাংশ কুর্মি ভোট রয়েছে। নীতীশ নিজেও কুর্মি সম্প্রদায়ের। বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল করার লক্ষ্যেই তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনার কথা ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের অন্তত দশটি লোকসভা আসনে কুর্মিদের প্রভাব রয়েছে। আগামী দিনে লোকসভা ভোটেও উত্তরপ্রদেশে ভাল করার লক্ষ্য নিয়েই এগোতে চাইছে জেডিইউ। তা না হলে বিহারের বিধানসভার যা পরিস্থিতি, তাতে তিন নম্বরে রয়েছে জেডিইউ। বিজেপির সমর্থনে কোনও ভাবে এ যাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ।
বিহারের মুজফ্ফরপুরের বিজেপি সাংসদ অজয় নিষাদের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে ২৭২ জন সাংসদের প্রয়োজন। নীতীশ নিশ্চয় সেটা মনে রেখেছেন। বর্তমানে বিজেপির সমর্থনে তিনশোর বেশি সাংসদ রয়েছেন। এর পর জেডিইউ যদি জোট ছেড়ে যেতে চায় যেতে পারে। কিন্তু এতে বিহারে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির কী হবে, সেটা নীতীশ নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।”