Azam Khan

বিধায়ক পদ খারিজ ঘৃণাভাষণে সাজাপ্রাপ্ত আজ়ম খানের, এ বার বিজেপির লক্ষ্য রামপুর?

জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা হলে সাংসদ-বিধায়কদের পদ খারিজ হয়। আজ়মকে রামপুর আদালত তিন বছর জেলের সাজা দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ১৫:১৭
Share:

বিধায়ক পদ খারিজ হল আজ়মের। ফাইল চিত্র।

চার মাস আগেই লোকসভা উপনির্বাচনে আজ়ম খানের ‘গড়’ রামপুর ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এ বার কি রামপুর বিধানসভার পালা? ঘৃণাভাষণের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আজ়মের তিন বছর জেলের সাজা হওয়ায় শুক্রবার তাঁর পদ খারিজ হয়েছে। আর তার পরেই শুরু হয়েছে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে সম্ভাব্য ফল ঘিরে জল্পনা।

Advertisement

জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা হলে সাংসদ-বিধায়কদের পদ খারিজ হয়। বৃহস্পতিবার আজ়মকে প্ররোচনামূলক বক্তৃতার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে রামপুর আদালত তিন বছর জেলের সাজা দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সেখানে উপনির্বাচন হতে পারে।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রামপুরে বিজেপির চিত্রতারকা প্রার্থী জয়াপ্রদাকে ১ লক্ষ ৯ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন আজ়ম। আজম পেয়েছিলেন প্রায় ৫৩ শতাংশ ভোট। জয়াপ্রদা ৪২ শতাংশ। এর পর চলতি বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে রামপুরে প্রার্থী হন আজ়ম। প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর ভোটের পার্থক্য ছিল ৫৫ হাজারেরও বেশি।

Advertisement

বিধানসভা ভোটে জেতার পর সাংসদ পদ ছাড়েন তিনি। কিন্তু গত জুন মাসে উপনির্বাচনে রামপুর লোকসভা কেন্দ্রে সমাজবাদী প্রার্থী মহম্মদ আসিম রাজাকে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে হারান বিজেপির ঘনশ্যাম সিংহ লোধি। তবে উপনির্বাচনেও আজমের বিধানসভা কেন্দ্র রামপুরে এগিয়ে ছিলেন সমাজবাদী প্রার্থী। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ৭ মাস আগে আজমের জেতা রামপুর বিধানসভা কেন্দ্র অখিলেশ যাদবের দল দখলে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রামপুরের জেলাশাসক অনুজেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতার অভিযোগেই সাজা হয়েছে আজ়মের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (গোষ্ঠীগত শত্রুতা বাড়ানো), ৫০৫-১ (প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে অস্থিরতা সৃষ্টি)-সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement