তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরিতে পরীক্ষা ইসরোর নয়া রকেটের ইঞ্জিনের। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
ফের একঝাঁক কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর রকেট। উৎক্ষেপণের আগে শনিবার রাতে আরও একটি মাইলফলক পেরিয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এলভিএম-৩ মার্ক-৩ মহাকাশযানের সিই-২০ ইঞ্জিন। তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরিতে ইসরোর প্রোপালশন কমপ্লেক্সের ‘হাই অল্টিটিউড টেস্ট ফেসিলিটি’-তে রকেটের ইঞ্জিনের ‘উড়ান গ্রহণযোগ্যতা’র পরীক্ষা সফল হয়েছে।
গত শনিবার (২২ অক্টোবর) রাতে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের সেকেন্ড লঞ্চ প্যাড (এসএলপি) থেকে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইসরোর সবচেয়ে ভারী রকেট এলভিএম-৩ মার্ক-২। প্রায় ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার কিলোগ্রাম ওজনের ওই রকেট সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশ সংস্থা ‘ওয়ানওয়েব’-এর তৈরি ৩৬টি কৃত্রিম উপগ্রহকে। যাদের মিলিত ওজন ছিল ৫,৭৯৬ কিলোগ্রাম। প্রতিটি উপগ্রহকে সফল ভাবে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করেছে ভারতীয় মহাকাশযানটি।
ইসরো সূত্রের খবর, এলভিএম-৩ মার্ক-৩-র সঙ্গেও ৩৬টি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হবে মহাকাশে। যাদের মোট ওজন হতে পারে ৫,৪০০ কিলোগ্রামের বেশি। ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনএসআইএল)-এর তত্ত্বাবধানে আগামী বছরের গোড়াতেই ওই উৎক্ষেপণ হতে পারে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২৬ মে, প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল ইসরো। সে বারে ইসরোর কাণ্ডারী ছিল ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ বা পিএসএলভি। ৪৫ কেজির একটি জার্মান কৃত্রিম উপগ্রহ ও ১১০ কেজির একটি কোরিয়ান কৃত্রিম উপগ্রহকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছিল সে। তার পর থেকে ৩৪৩টি বিদেশি কৃত্রিম উপগ্রহ বাণিজ্যিক ভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছে পিএসএলভি।