জাস্টিন ট্রুডো (বাঁ দিকে) এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
দু’মাস বন্ধ থাকার জন্য কানাডাবাসীর জন্য ফের ই-ভিসা পরিষেবা চালু করল ভারত। সরকারের একটি সূত্র মারফত এই খবর পাওয়া গিয়েছে। কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েনের আবহে গত ২১ সেপ্টেম্বর কানাডার নাগরিকদের ভিসা পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করেছিল নয়াদিল্লি। পরে ভিসানীতি খানিক শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ২৬ অক্টোবর থেকে কানাডার নাগরিকদের ‘এন্ট্রি ভিসা’, ‘বিজনেস ভিসা’, ‘মেডিক্যাল ভিসা’ এবং ‘কনফারেন্স ভিসা’ দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, আপাতত ভারতের ভ্রমণ, পড়াশোনা, চাকরির উদ্দেশে আসা কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হবে না। ভিসা দেওয়া হবে না সাংবাদিক, মিশনারি এবং সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও। এই প্রসঙ্গে কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয়কুমার বর্মা বলেছিলেন, “শুধুমাত্র চারটি ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া পুনরায় চালু হয়েছে। প্রেস বিবৃতিতেও সে কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।” তবে বুধবার থেকে কানাডার সমস্ত নাগরিকের জন্যই ই-ভিসা পরিষেবা চালু করার কথা জানাল ভারত।
অন্য দিকে, বুধবার ভারতের তরফে আয়োজিত জি২০-র ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। ট্রুডোর সচিবালয় তাঁর উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির ভিসা-ঘোষণা দুই দেশের ফের কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। মুখ খোলেনি কানাডাও।
গত জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার সম্ভাব্য ভূমিকা ছিল বলে কানাডার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। কানাডার তদন্তকারী সংস্থাগুলি এ বিষয়ে আরও বিশদে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি। ট্রুডোর এই দাবিকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দেয় ভারত। এই ঘটনাকে ঘিরে তলানিতে নামে ভারত-কানাডা সম্পর্ক।