পোলবার মদের কারখানায় তল্লাশি চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
৩০ ঘন্টা পেরিয়েছে। এখনও আয়কর তল্লাশি চলছে হুগলির পোলবার মহানাদে মদের কারখানায়। মঙ্গলবার ভোরে আয়কর দফতরের আধিকারিকদের একটি দল সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে মদ কারখানায় তল্লাশি করতে ঢোকেন। কারখানার অ্যাকাউন্টস্ বিভাগের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন আধিকারিকরা। শুরু হয় নথি খতিয়ে দেখা। কারখানার অন্যতম ডিরেক্টর দেবরাজ মুখোপাধ্যায়কে অবশ্য দেখা যায়নি। মঙ্গলবার সাধারণ শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বুধবার অবশ্য কারখানার আশপাশেও কোনও শ্রমিকের দেখা মেলেনি। কারখানার গেট দিয়ে দেখা যাচ্ছে, আয়কর আধিকারিকরা ভিতরে পায়চারি করছেন। সিআরপিএফ জওয়ানদের কেউ বসে আছেন, কেউ দাঁড়িয়ে।
কারখানার একটি সূত্রের খবর, আয়কর আধিকারিকরা কারখানার কম্পিউটার থেকে যাবতীয় তথ্য পেন ড্রাইভে কপি করে নিয়েছেন। মদের স্টক, শ্রমিকদের রেজিস্ট্রার খাতা-সহ বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই আয়কর তল্লাশি নিয়ে মহানাদ পঞ্চায়েতের প্রধান শুভেন্দু দাস বলেন, ‘‘কারখানায় তল্লাশি চলছে গতকাল থেকে। কী বিষয়ে তা আমাদের জানা নেই। তবে এখানে প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের কাজে আসতে বারণ করা হয়েছে। কিন্তু কারখানায় কাজ না হলে ওঁদের তো পেট চলবে না! তদন্ত, তল্লাশি চলুক কারখানায়, শ্রমিকেরা কাজও করুন।’’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পাঁচটি গাড়ি করে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা ওই মদের কারখানায় ঢোকেন। দেবরাজ মুখোপাধ্যায় ওই কারখানার অন্যতম ডিরেক্টর। জানা গিয়েছে, দিল্লির একটি সংস্থার হাতে রয়েছে এই কারখানার বেশির ভাগ শেয়ার। মদের ‘বটলিং’ এবং মদ তৈরির কাঁচামাল ইথানল তৈরি হয় এই কারখানায়।