—ফাইল চিত্র।
মনমোহন সিংহ জমানায় তথ্যের অধিকার আইন তৈরি করতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন সনিয়া গাঁধী। নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই আইন লঘু করতেই আজ গর্জে উঠলেন সনিয়া।
বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও গত কাল লোকসভায় তথ্যের অধিকার (আরটিআই) সংশোধনী আইনটি পাশ করিয়ে নেয় সরকার। আজ সকালে সনিয়া এক বিবৃতি জারি বলেন, ২০০৫ সালের আইনে ঐতিহাসিক অধিকারটিই শেষ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সবিস্তার আলোচনা করে যে বিলটি তৈরি হয়েছিল, এখন তা বিলোপের পথে। প্রশাসনের সব স্তরে দায়বদ্ধতা স্থির করে গণতন্ত্রের একটি শক্ত ভিত তৈরি করেছিল এই আইন। সমাজের দুর্বল অংশ অনেক উপকৃত হয়েছিল তাতে। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এর স্বাধীনতা খর্ব করে নাগরিকদেরই ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে।
মনমোহন সিংহের সময় জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ গড়েছিলেন সনিয়া। তথ্যের অধিকার আইনের মাধ্যমে তথ্য কমিশনাররা নির্বাচন কমিশনের সমান মর্যাদা পেতেন। কিন্তু কেন্দ্র সেই মর্যাদা কেড়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি কমিশনারদের বেতন, মেয়াদ ও অন্য শর্ত ঠিক করার অধিকারও কেন্দ্র নিজের হাতে রাখছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, আসলে তথ্য কমিশনারদের নিজেদের হাতের ‘পুতুল’ করে রাখতে চাইছে সরকার।
গত কালও কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক ডিগ্রি সম্পর্কে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় গোড়ায় সেটি দিতে চায়নি। কিন্তু আইন এতটাই মজবুত ছিল, মুখ্য তথ্য কমিশনার তা প্রকাশের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর বিড়ম্বনা বাড়ে। সরকার আইনের যে সংশোধন করছে, তাতে এখন কমিশনারদের উপর রাশ টানা যাবে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।