আগরায় ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
চাকরির লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি আগরার এক হোটেল মালিকের পুত্র। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। নির্যাতিতা কিশোরীর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের আগরার তাজগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। কিশোরীর মা সেখানেই অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে হোটেলে কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা ফতেহাবাদ এলাকার। কিশোরীর মা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর কন্যার সঙ্গে অভিযুক্ত যুবক ফোনে কথা বলতেন। যুবক জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার হোটেলে কিশোরীর একটি চাকরির বন্দোবস্ত করে দেবেন। এই মর্মে কিশোরীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। গত ২১ অক্টোবর দুপুরে যুবকের ডাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যায় কিশোরী। নিজেদের হোটেলেই তাকে ডেকেছিলেন অভিযুক্ত। সেখানে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
কিশোরীর মা জানিয়েছেন, মাথায় বন্দুক ধরে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাঁর কন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়, পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। এসএইচও জশবীর সিংহ জানিয়েছেন, কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছে। পুলিশের কাছে কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করিয়েছেন তাঁর মা। তবে অভিযুক্ত যুবককে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হবে, আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা।