সরকারি চাকরির জন্য বাবাকে খুন। গ্রাফিক তিয়াসা দাস।
কর্মজীবনের শেষপ্রান্তে এসে হঠাৎ খুন হয়ে গেলেন মহাবীর। ছত্তীসগঢ়ের এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী। তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেও পুলিশ ধন্দে খুনের কারণ নিয়ে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে জানা গেল খুনি আর কেউ নয় মহাবীর সাইয়ের ছোটছেলে জীবন। আর বাবাকে খুনের পিছনে রয়েছে একটা সরকারি নিয়ম।
ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের জসপুর জেলার সান্না গ্রামের।
ছত্তীসগঢ়ের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী ছিলেন মহাবীর সাই। চাকরি শেষ হতে আর দিন সাতেক বাকি ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে গত রবিবার তাঁর দেহ খুঁজে পাওয়া গেল গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে। পুলিশ দেখল তাঁর মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন।
এর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বেশ কয়েক জনকে পুলিশ আটকও করল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহাবীরের ছোট ছেলে জীবন সাইকেও আটক করেছিল পুলিশ। পুলিশি জেরার মুখে জীবন স্বীকার করে নেয়, সেই খুন করেছে তাঁর বাবাকে। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিল সাহায্য করেছিল আরও দুই ব্যক্তি।
কিন্তু কেন বাবাকে খুন করতে গেল সে? কী সমস্যা ছিল তাঁর বাবার সঙ্গে?
জীবনকে চেপে ধরতেই সব কথা জানায় সে। আর তার মুখে খুনের কারণ শুনেই চমকে যান তদন্তকারী অফিসাররা। জীবন তাঁদের জানায়, বাবার সরকারি চাকরি পাওয়ার আশাতেই বাবাকে খুন করেছে সে।এই ঘটনা নিয়ে জসপুরের এসপি শঙ্কর লাল বাঘেল মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘আমরা তদন্ত করে দেখেছি এই সপ্তাহে অবসর নিতেন মহাবীর। তাঁর ছোট ছেলে জীবন সাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়, সে খুন করেছে বলে স্বীকার করে। সে জানিয়েছে, সরকারি চাকরি পেতেই বাবাকে খুন করেছে। সেই খুনে আরও দু’জন তাঁকে সাহায্য করেছিল। সোমবার আমরা তিনজনকেই গ্রেফতার করেছি।’’
সরকারি চাকরির জন্য বাবাকে খুনের ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে এ রকমই এক ঘটনা চমকে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের মেরাঠবাসীকে। সেখানেও সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবার নলি কেটেছিল ২২ বছরের ছেলে। পুলিশি জেরার সময় হত্যাকারী ছেলে জানিয়েছিল, সরকারি চাকরি না পেলে তাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না তার বান্ধবী। তাই বাবার সরকারি চাকরি হাতাতে বাবাকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো কল রেকর্ড করে ইঞ্জিনিয়ারকে ব্ল্যাকমেল মহিলার
আরও পড়ুন: অন্য মিউজিক্যাল চেয়ার! বউকে কোলে তুলে চেয়ারে বসানোর খেলা, আগে দেখেছেন?