গরুগুলি ট্যাঙ্কারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। প্রতীকী ছবি।
তেলের ট্যাঙ্কারের মধ্যে গাদাগাদি করে বেঁধে রাখা রয়েছে গরু। তাদের মধ্যে আবার দুটি মৃত। গরুগুলি ট্যাঙ্কারে ও ভাবে রেখে পশ্চিমবঙ্গে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু তার আগেই গরু পাচারের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের কাছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তেলের ট্যাঙ্কারের মধ্যে ২১টি গরু রাখা ছিল। সেই সঙ্গে আরও ২টি গরু মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ওড়িশা হয়ে গরুগুলি গাড়িতে করে পশ্চিমবঙ্গে পাচার করা হচ্ছিল।
গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে গত ২৫ অক্টোবর রাস্তায় চেক পয়েন্ট বসায় পুলিশ। সে রাতে ২টো ৩০ মিনিটে ওই রাস্তা ধরে ট্যাঙ্কারটিকে যেতে দেখা যায়। তার পর তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার করা হয় গরুগুলি।
পুলিশকে দেখে প্রথমে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন চালক। কিন্তু পরে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় গরু-মোষ উদ্ধার করেছে রামপুরহাট ও সিউড়ি থানা। অভিযোগ, বিহার-ঝাড়খণ্ড হয়ে সেই গবাদি পশু মুর্শিদাবাদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বৈধ নথি না থাকায় পাচারের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে অনেককে।
অন্য দিকে, গরু পাচার মামলায় গত ১১ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দেহরক্ষী সহগল হোসেনকেও। বর্তমানে তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু পাচার নিয়ে তদন্তের মধ্যেই যে ভাবে একের পর এক গরু পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে তা উল্লেখযোগ্য।