Smita Sabharwal

Smita Sabharwal: একে সফল তায় সুন্দরী, তেলঙ্গানার বাঙালি আমলাকে নিয়ে দেশ জুড়ে শোরগোল

স্মিতা মনে করেন, একজন দক্ষ প্রশাসকের সাফল্যের উৎসে থাকে জনসংযোগই। সেই আদর্শ থেকেই স্মিতা ধৈর্য ধরে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৫৫
Share:
০১ ১৫

মহিলা আমলাদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা হলে তিনি নির্দ্বিধায় প্রথম পুরস্কারটি নিয়ে যেতেন। যদিও মানুষ তাঁকে রূপে নয়, গুণে চেনেন।

০২ ১৫

পদমর্যাদায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সচিব। তবে সে রাজ্যের মানুষের দেওয়া একটি আদরের ডাক নামও আছে। তিনি তাঁদের চোখে ‘পিপলস অফিসার’ অর্থাৎ 'জনতার প্রশাসক'।

Advertisement
০৩ ১৫

‘ভাল’ নাম স্মিতা সভরবাল। স্মিতা বাঙালি কন্যা। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙে জন্ম। বাবা-মা দু’জনেই বাঙালি। তবে বাঙালি পরিবারে বড় হলেও স্মিতা বাংলায় থেকেছেন কম।

০৪ ১৫

বাবা কর্নেল প্রণব দাস প্রাক্তন সেনাকর্তা। বাবার কর্মসূত্রেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে থেকেছেন। বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছেন। সেকেন্দরাবাদে হাইস্কুল, হায়দরাবাদে কলেজ শেষ করেছিলেন স্মিতা।

০৫ ১৫

তবে মেধাবি ছাত্রীর তাতে পড়াশোনায় ক্ষতি হয়নি। আইসিএসই পরীক্ষায় গোটা দেশে প্রথম হয়েছিলেন। ২২ বছর বয়সে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সেই পরীক্ষাতেও দেশের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিলেন স্মিতা।

০৬ ১৫

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে মহিলা আইএএস কর্তার নিয়োগ একটা সময়ে বিরল বিষয় ছিল। স্মিতাই প্রথম মহিলা আইএএস, যাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে নিয়োগ করা হয়।

০৭ ১৫

তার আগে কুর্নুলের জয়েন্ট কালেক্টর, করিমনগর এবং মেডকের জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

০৮ ১৫

মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্মিতাকে। সেই সব এলাকায় একের পর এক পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে জনতার সমর্থন সরকারের দিকে টেনে এনেছিলেন এই জেলাশাসক। তাঁর সময়ে করিমনগরের ভোটদাতার সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছিল।

০৯ ১৫

প্রশাসক হিসেবে স্মিতার জনপ্রিয়তার আরও একটি কারণ, তাঁর বিভিন্ন বাস্তবমুখী সামাজিক প্রকল্প-ভাবনা। এলাকার মানুষের আর্থিক উন্নয়ন তো বটেই, সামাজিক অবস্থানগত উন্নতির জন্যও বিভিন্ন প্রকল্প এনেছিলেন স্মিতা। তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হল ‘আম্মাললনা’, ‘প্রজাবাণী’, ‘ফান্ড ইয়োর সিটি’। এই সব প্রকল্পে মানুষের সঙ্গে সরকারের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের এবং আম জনতার সমস্যা শুনে তা সমাধানের ব্যবস্থা করেছিলেন স্মিতা। সেই সব প্রকল্প বেশ এখনও বেশ সফল তেলঙ্গানায়।

১০ ১৫

স্মিতা প্রযুক্তি ভালবাসেন। প্রযুক্তির সাহায্যেই দিনরাত যোগাযোগ রাখেন মানুষের সঙ্গে। মনে করেন, একজন প্রশাসকের শাসনদক্ষতার মূলে থাকে জনসংযোগই। সেই আদর্শ থেকেই স্মিতা ধৈর্য ধরে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন। মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ রাখেন। তাঁকে দেওয়া ‘পিপলস অফিসার’ অভিধার আসল কারণ সেটাই।

১১ ১৫

স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও তেলঙ্গানায় স্মিতার কাজ প্রশংসিত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এক বাক্যে মেনে নিয়েছেন, স্মিতা জেলাশাসক থাকাকালীন তেলঙ্গানার বিভিন্ন জেলার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা সংস্কারবশত হাসপাতালে যেতে চাইতেন না একটা সময়। স্মিতা তাঁদের বুঝিয়ে স্বাস্থ্য সচেতন করেছেন।

১২ ১৫

পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি তাঁর শাসন দক্ষতায় জেলাগুলির নারী এবং শিশু মৃত্যুর হারও অনেকটা কমে যায়। এমনকি সফটওয়ারের সাহায্য নিয়ে সরকারি স্কুলগুলির পড়াশোনার উপরেও নিয়মিত নজর রাখার উপায় বের করেছিলেন তিনি।

১৩ ১৫

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত সেরা জেলা হিসেবে নির্বাচিত হয় তাঁর শাসনে থাকা করিমনগর।

১৪ ১৫

তবে এ সব সামলেও স্মিতা পুরোদমে সংসার করেন। বিয়ে করেছেন অবাঙালিকে। তাঁর স্বামী আকুন সভরবাল একজন আইপিএস অফিসার। দুই সন্তানও আছে এই সুন্দরী আমলার। তাদের নাম নানক এবং ভুবিস সভরবাল।

১৫ ১৫

অবসরে বেড়াতে ভালবাসেন স্মিতা। কিন্তু এত কিছু সামলানোর অনুপ্রেরণা পান কোথা থেকে? স্মিতা জানিয়েছেন, সাফল্যই তাঁর অনুপ্রেরণা। যখন দেখেন, স্বপ্নের পিছনে তাঁর ছোটা ব্যর্থ হয়নি। তখনই আরও দৌড়নোর জোর পান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement