শ্রদ্ধাকে কী ভাবে খুন করেছে আফতাব, তার বিবরণ শুনে আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকর। —ফাইল চিত্র।
শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের বিভীষিকায় কেঁপে উঠেছে সারা দেশ। শ্রদ্ধার লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা যে নৃশংস ভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে, তার বিবরণ শুনে আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকর। এনডিটিভি-কে তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে বেঁচে নেই শোনার পর আমি যেন বোবা হয়ে গিয়েছিলাম। কী করব বুঝতে পারছিলাম না।’’ বিকাশ জানান, আফতাব তাঁর সামনেই পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে তিনি শ্রদ্ধাকে খুন করেছেন। খুনের সম্পূর্ণ বিবরণও দিয়েছিলেন আফতাব। কিন্তু তা শোনার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ।
তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ আফতাবকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করেছিল যে ও আমাকে চেনে কি না। আফতাব আমাকে দেখে পুলিশকে জানাল যে আমিই শ্রদ্ধার বাবা। তার পর হঠাৎ বলে উঠল, শ্রদ্ধা আর বেঁচে নেই। আমি ওখানেই ভেঙে পড়েছিলাম। নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারছিলাম না। ও কী ভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল, তা নিয়েও বলতে শুরু করে। আমি কিছুই শোনার মতো পরিস্থিতিতে ছিলাম না।’’
বিকাশ জানান, প্রথম থেকেই তিনি শ্রদ্ধাকে এই সম্পর্কে থাকতে বারণ করেছিলেন। আফতাবকে পছন্দ করতেন না বিকাশ। সাক্ষাৎকারে বিকাশ বলেন, ‘‘শ্রদ্ধাকে আমি বার বার বলেছি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে। আফতাবকে যেন বিয়ে না করে ও। আমরা নিজেদের চেনাজানার মধ্যে ওর বিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ও আমাদের কথা শোনেনি।’’
বিকাশ জানান, শ্রদ্ধার সঙ্গে কেন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, সেই বিষয়ে আফতাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আফতাব তাঁকে কিছুই জানাননি। এ নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিকাশ। পরে আফতাবকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, শ্রদ্ধা নিখোঁজ তা আগে কেন জানাননি আফতাব। আফতাব বলেছিলেন, ‘‘আমার সঙ্গে আপনার মেয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই ওর কোনও খেয়ালও আমি রাখব না।’’ সঙ্গে বিকাশ যোগ করেন, ‘‘আফতাবের সঙ্গে আমার যত বার কথা হয়েছে, ও স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলেছে। এর পর সংযোজন, "আমার মেয়ের সঙ্গে আড়াই বছর ধরে ও-ই সম্পর্কে রয়েছে। ওরই তো শ্রদ্ধার খেয়াল রাখা উচিত। আফতাবের মৃত্যুদণ্ড চাই। এর থেকে উপযুক্ত শাস্তি আর কিছু হতে পারে না।’’