Shraddha Walker murder case

শুধু ‘বাম্বল’ নয়, একের পর এক ডেটিং অ্যাপেও ঘোরাঘুরি ছিল শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাবের

শ্রদ্ধা ওয়ালকরের সঙ্গে লিভ-ইনে থাকাকালীন হয়তো একাধিক তরুণীর সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন আমিন পুনাওয়ালা। লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের সময় হয়তো তাঁদের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ২২:১৯
Share:

ফাইল চিত্র।

শ্রদ্ধা ওয়ালকরের সঙ্গে যে ‘বাম্বল’-এ প্রথম আলাপ, সেটি ছাড়াও একাধিক ডেটিং অ্যাপে ঘোরাফেরা করতেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তদন্তকারীদের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁদের দাবি, শ্রদ্ধার সঙ্গে লিভ-ইনে থাকাকালীন হয়তো একাধিক তরুণীর সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের সময় হয়তো তাঁদের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত আফতাবের। সূত্রের খবর, আফতাবের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনুমান প্রমাণের জন্য তাঁর মোবাইল ফোন-সহ নানা বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি খতিয়ে দেখতে চায় দিল্লি পুলিশ। সেগুলি ঘেঁটে উদ্ধার করা তথ্যসমূহের মধ্যেই হয়তো শ্রদ্ধাকে খুনের কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে।

Advertisement

পুলিশের দাবি, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুনের পর করাত দিয়ে তাঁর দেহের অন্তত ৩৫ টুকরো করেছিলেন আফতাব। এর পর সেই দেহাংশগুলি রাসায়নিক দিয়ে ধুয়েমুছে ফ্রিজ়ারে ভরে রেখেছিলেন। রাতের অন্ধকারে সেগুলির এক-একটি টুকরো নিয়ে জঙ্গলে ফেলতে যেতেন তিনি। এমনই অভিযোগ উঠেছে দিল্লির মেহরৌলি এলাকায় ছতরপুরের ওই বাসিন্দার বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুনের মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁকে নিয়ে মুম্বই থেকে দিল্লিতে এসে উঠেছিলেন আফতাব। তদন্তকারীদের দাবি, শ্রদ্ধাকে খুনের পর পরই নিত্যনতুন মহিলাসঙ্গীদের নিয়ে ছতরপুরের ভাড়াটে ফ্ল্যাটে ঢুকতেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও গড়তেন বলেও নাকি পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। সে সময় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ফ্রিজ়ারে থেকে সরিয়ে আলমারিতে রেখে দিতেন বলে দাবি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement