আবাসন কার্যত পরিণত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে। —ফাইল ছবি
দিল্লিতে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের ঘটনায় প্রায় প্রতি দিন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। খুনের পর প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিলেন আফতাব পুনাওয়ালা। নৃশংসতায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। আফতাবের সেই ফ্ল্যাটবাড়ি তথা আবাসন কার্যত পরিণত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে (ট্যুরিস্ট স্পট)। সূত্রের খবর, নানা জায়গা থেকে লোকজন ছতরপুরের কুখ্যাত সেই ফ্ল্যাটে আসছেন। খুঁটিয়ে দেখছেন বাড়ির আনাচকানাচ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাবের ফ্ল্যাটবাড়ি দেখতে যাঁরা আসছেন, তাঁদের বেশির ভাগই কমবয়সি স্কুলছাত্র। স্থানীয় স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজতেই আফতাবের ফ্ল্যাটে ভিড় জমতে শুরু হয়। স্কুলের পোশাক পরেই ছেলেমেয়েরা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল দেখতে চলে আসে। সেই সঙ্গে দিনরাত সাংবাদিকদের জমায়েত তো রয়েইছে। এ ছাড়াও, কৌতূহলী যুবক-যুবতীরাও প্রতিদিন ভিড় করছেন আফতাবের ফ্ল্যাটের সামনে।
শুধু দেখা নয়, আফতাব-শ্রদ্ধার সম্পর্কে কৌতূহলীরা নানা প্রশ্নও করছেন। স্থানীয়দের বা সাংবাদিকদের কাছেই প্রশ্ন রেখে কৌতূহল নিবারণের চেষ্টা করছেন তাঁরা। আফাবদের আবাসনে কোনও পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে যে কেউ সেখানে গিয়ে ভিড় জমাতে পারছেন।
আবাসনের সামনে গেলেও আফতাবের ফ্ল্যাটে অবশ্য প্রবেশ নিষিদ্ধ। তদন্তের স্বার্থে ফ্ল্যাটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, দু’দিন আগে পর্যন্তও সেই ফ্ল্যাটের একটি জানলা খোলা ছিল। রাস্তা থেকে ফ্ল্যাটের ভিতরের বেশ খানিকটা অংশ দেখা যাচ্ছিল।
আফতাবের বাসস্থানের এলাকায় তরুণ-তরুণীদের যাতায়াত বন্ধ করা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কুলবীর কৃষ্ণণ বলেন, ‘‘ছোটদের এখানে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়। তাদের মনে এই নৃশংস ঘটনার প্রভাব পড়তে পারে।’’ ভবিষ্যতে তা অপরাধপ্রবণ মানসিকতায় ইন্ধন জোগাতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।