Honeytrap

সুন্দরীর ইশারায় মজে গোপন তথ্য ফাঁস! রূপ আর যৌনতার ফাঁদে পড়ে গুপ্তচরবৃত্তির নানা কাহিনি

যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে তথ্য আদায় করে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের কর্মীকে। পাক সুন্দরীর প্রলোভনে তিনি পা দিয়েছিলেন। গুপ্তচরবৃত্তিতে যৌনতার ইতিহাস অবশ্য অনেক পুরনো।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৮:১৩
Share:
০১ ১৬

যৌনতার ফাঁদে পড়ে পাকিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করার অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্মীকে। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। পুলি‌শের দাবি, তিনি ‘হানি ট্র্যাপ’-এর শিকার।

প্রতীকী ছবি।

০২ ১৬

জানা গিয়েছে, বিদেশ মন্ত্রকের ওই কর্মী গাড়ির চালক। মন্ত্রকের হয়ে গাড়ি চালান তিনি। শুক্রবার নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু ভবন থেকে দীর্ঘ জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লির অপরাধ দমন শাখা।

প্রতীকী ছবি।

Advertisement
০৩ ১৬

তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তানের এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল ওই কর্মীকে। যৌনতার ফাঁদ পাতা হয়েছিল তাঁর জন্য। তিনি সেই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। বিদেশ মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি পাকিস্তানে পাচার করে দিতেন।

প্রতীকী ছবি।

০৪ ১৬

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই তথ্য পাচারের খবর আসছিল তাঁদের কাছে। তদন্ত করতে নেমে তাঁরা জানতে পারেন তথ্য পাচার হচ্ছে খাস বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকেই। দফতরের ভিতর থেকেই কেউ বা কারা তথ্য পাচার করে দিচ্ছিলেন বলে জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা।

প্রতীকী ছবি।

০৫ ১৬

বিদেশ মন্ত্রকে গাড়ি চালানোর সুবাদে বহু মন্ত্রী, আমলাদের গুরুত্বপূর্ণ কথা শুনতে পেতেন ধৃত চালক। কাজে লাগাচ্ছিলেন সেই সুযোগকেই।

প্রতীকী ছবি।

০৬ ১৬

দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা জানতে পেরেছে, পাক তরুণীর নাম পুনম শর্মা ওরফে পূজা। তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন ধৃত চালক। তরুণীর কথায় তিনি তথ্য পাচার করতেন। গাড়ি চালাতে চালাতে যা শুনতে পেতেন, সব ওই তরুণীকে জানাতেন। বিনিময়ে টাকাও পেতেন, দাবি পুলিশের।

প্রতীকী ছবি।

০৭ ১৬

বিদেশ মন্ত্রকের চালক নতুন নন, এর আগেও ‘হানি ট্র্যাপ’-এর শিকার হয়েছেন অনেকে। বিশেষত গুপ্তচরবৃত্তিতে এই প্রক্রিয়ার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। যৌনতা, শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে কাজ হাসিল করে নেওয়ার নামই ‘হানি ট্র্যাপ’।

প্রতীকী ছবি।

০৮ ১৬

অর্থনৈতিক লাভ কিংবা রাজনৈতিক কারণে ‘হানি ট্র্যাপ’-এর পন্থা অবলম্বন করা হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ব্ল্যাকমেল বা অবৈধ জুলুমের জন্যেও ‘হানি ট্র্যাপ’-এর শিকার হয়ে থাকেন কেউ কেউ।

প্রতীকী ছবি।

০৯ ১৬

ইংরাজি সাহিত্যে ‘হানি ট্র্যাপ’ শব্দটি প্রথম আসে জন লে ক্যারের লেখা ‘টিঙ্কার, টেলর, সোলজার, স্পাই’ নামক নভেলের মাধ্যমে। ১৯৭৪ সালে ওই নভেলেই প্রথম ‘হানি ট্র্যাপ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে তা বহুল প্রচলিত হয়ে পড়েছে।

প্রতীকী ছবি।

১০ ১৬

শব্দটি নতুন হলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই ‘হানি ট্র্যাপ’-এর ঘটনা ঘটে আসছে। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘মাতা হারি কাণ্ড’। মাতা হারির আসল নাম মারগারেটা গিরট্রুইডা ম্যাকলিয়ড। এই ডাচ তরুণী যৌনবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জার্মান গুপ্তচর হিসাবে চিহ্নিত করা হয় তাঁকে। তদন্তের পর জানা যায়, তিনি স্পেন নিবাসী এক জার্মান রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে টাকা নিতেন। তাঁর কাছে তথ্যও ফাঁস করে দিতেন নিয়মিত। ১৯১৭ সালে ফ্রান্সে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

প্রতীকী ছবি।

১১ ১৬

‘হানি ট্র্যাপিং’-এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছিল রুশ নিরাপত্তাবাহিনী ‘কেজিবি’। ব্রিটিশ সাংবাদিক তথা ইতিহাসবিদ ডোনাল্ড ম্যাককর্মিক তাঁর বইতে লিখেছেন, ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় রাশিয়া এক দল মহিলা ‘এজেন্ট’ নিযুক্ত করেছিল এই ‘হানি ট্র্যাপিং’-এর কাজে। তাঁদের ‘মোজ়নো গার্ল’ বলা হত।

প্রতীকী ছবি।

১২ ১৬

‘মোজ়নো’দের কাজই ছিল যৌন প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশি আধিকারিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করা। তার পর তাঁদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নথি আদায় করে নিয়ে জায়গা মতো পৌঁছে দেওয়া।

প্রতীকী ছবি।

১৩ ১৬

শুধু রাশিয়া নয়, গুপ্তচরবৃত্তিতে ‘হানি ট্র্যাপ’ ব্যবহারের নজির রয়েছে চিনের ক্ষেত্রেও। এমনকি ভারতেও ‘হানি ট্র্যাপ’ বিরল নয়।

প্রতীকী ছবি।

১৪ ১৬

আটের দশকে ভারতের এক র অফিসারকে একই ভাবে যৌনতার ফাঁদে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁর নাম ছিল কে ভি উন্নিকৃষ্ণণ। যে মহিলার প্রলোভনের ফাঁদে তিনি পা দিয়েছিলেন, তিনি সিআইএ (সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি)-র আধিকারিক বলে দাবি। ভারতের এয়ারলাইন্সে কাজ করতেন ওই মহিলা। ১৯৮৭ সালে উন্নিকৃষ্ণাণকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রতীকী ছবি।

১৫ ১৬

ষাটের দশকে কেজিবি-র ‘হানি ট্র্যাপিং’-এর শিকার হয়েছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক জেরেমি উলফেনডেন। তাঁকেও যৌনতার ফাঁদে ফেলেছিলেন কেজিবি দ্বারা নিযুক্ত এক মহিলা। তাঁর গোপন ছবি তুলেও ব্ল্যাকমেল করা হত বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

১৬ ১৬

‘হানি ট্র্যাপিং’-এর চাপে পড়ে শেষমেশ বেঁচে থাকার ইচ্ছেই হারিয়ে ফেলেন এই সাংবাদিক। মাত্র ৩১ বছর বয়সে স্নানঘরে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

প্রতীকী ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement