কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। —ফাইল চিত্র ।
‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’, নাম বিতর্কের আবহে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নাম বদলে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন শশী তারুর। বিজেপি-বিরোধী জোটের নাম কী হবে, তা-ও বাতলে দিলেন কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ। পাশাপাশি, নামবদল বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কটাক্ষও করেছেন তিনি। তারুরের পরামর্শ, বিজেপি-বিরোধী দলগুলির জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ করে দেওয়া হোক। পুরো নাম হোক ‘অ্যালায়েন্স ফর বেটারমেন্ট, হারমনি অ্যান্ড রেসপন্সিবল অ্যাডভান্সমেন্ট ফর টুমরো (ভারত)’। বিরোধীরা জোটের নাম বদলে ‘ভারত’ করে দিলে কেন্দ্র সরকার ‘নাম বদলানোর জঘন্য খেলা’ বন্ধ করতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তারুর।
সমাজমাধ্যম ‘এক্স (সাবেক টুইটার)’ হ্যান্ডলে পোস্ট করে তারুর এই পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা অবশ্যই নিজেদেরকে ‘‘অ্যালায়েন্স ফর বেটারমেন্ট, হারমনি অ্যান্ড রেসপন্সিবল অ্যাডভান্সমেন্ট ফর টুমরো (ভারত)’ বলতে পারি। তা হলে হয়তো শাসক দল নাম পরিবর্তনের এই নোংরা খেলা বন্ধ করতে পারে।’’
মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের ‘নামবদল’ বিতর্কের সূত্রপাত। কংগ্রেসের দাবি, জি২০ বৈঠক উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির ডাকা নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার রাতেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর আসন্ন ইন্দোনেশিয়া সফরের সূচি ‘এক্স’-এর হ্যান্ডলে প্রকাশ করেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। সেখানে মোদীর পদ লেখা হয়েছে, ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। যদিও সরকারি প্রথা অনুযায়ী তাঁর পদটিকে ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ইন্ডিয়া’ লেখা হয়। এর পর বিষয়টি নিয়ে জল্পনা আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে থাকে, দেশের নাম কি আর ‘ইন্ডিয়া’ থাকবে না? পাকাপাকি ভাবে ‘ভারত’ হয়ে যাবে? একই সঙ্গে জল্পনা, সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাব পেশ করতে পারে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
মঙ্গলবার তারুর জানিয়েছিলেন, দেশকে ‘ভারত’ নামে ডাকার ক্ষেত্রে কোনও সাংবিধানিক আপত্তি নেই। তবে তিনি আশা করেন, সরকার ‘ইন্ডিয়া’ নাম বদলে ফেলার মতো ‘বোকামি’ করবে না। তাঁর যুক্তি, আন্তর্জাতিক স্তরে ‘ইন্ডিয়া’ নামের সঙ্গে অনেক বেশি ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ জড়িত রয়েছে।