(বাঁ দিকে) অজিত পওয়ার এবং যুগেন্দ্র পওয়ার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
জল্পনা চলছিল গত কয়েক দিন ধরেই। অবশেষে সিলমোহর পড়ল সেই গুঞ্জনেই। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে অজিত পওয়ারের বিরুদ্ধে লড়বেন তাঁর ভাইপো যুগেন্দ্র পওয়ার। শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর টিকিটে ভোটে লড়বেন তিনি। রাজনীতিতে পওয়ার পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের অন্যতম যুগেন্দ্র। এ বারের ভোটে মহারাষ্ট্রের বারামতী তাঁকে প্রার্থী করেছে শরদ গোষ্ঠী। পওয়ার পরিবারের পারিবারিক আসন বারামতি। এই আসনের সঙ্গে পওয়ারদের বহু অতীত জড়িয়ে রয়েছে। বারামতী থেকে অতীতে ছ’বার বিধায়ক হয়েছেন শরদ। অজিতও এখান থেকে ছ’বার বিধায়ক হয়েছেন। ১৯৯১ সালের উপনির্বাচন সংযোজন করলে, অজিত সাত বারের বিধায়ক বারামতীর। পওয়ার পরিবারের সেই আসনেই এ বার অজিতের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে শরদের ভাইপো-পুত্র।
শরদের ভাইপো শ্রীনিবাস পওয়ারের পুত্র যুগেন্দ্র। বছর বত্রিশের যুগেন্দ্র এ বার ভোটের রাজনীতিতে পা রাখলেন বারামতী থেকেই। শরদ গোষ্ঠী বৃহস্পতিবারই ৪৫জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তালিকায় রয়েছেন যুগেন্দ্রও। শরদ গোষ্ঠীর নেতা জয়ন্ত পাটিল বলেন, “স্থানীয় মানুষদের দাবি মেনেই বারামতীর প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ চাইছিলেন শিক্ষিত ও তরুণ কোনও মুখকে বেছে নেওয়া হোক। যিনি সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলবেন। সে দিক থেকে যুগেন্দ্রই আমাদের সেরা বিকল্প।”
এনসিপিতে ভাঙনের পর গত লোকসভা নির্বাচনেও বারমতী আসন থেকে পওয়ারদের পারিবারিক ঠোকাঠুকি দেখা গিয়েছিল। শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়েছিলেন অজিতের স্ত্রী সুনেত্রা পওয়ার। পারিবারিক লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিয়া সুলেই পুনর্নিবাচিত হয়েছেন লোকসভায়। উল্লেখ্য, ওই লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বেও সুপ্রিয়ার পর নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল যুগেন্দ্রকে। বস্টনের নর্থইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ডিগ্রি রয়েছে যুগেন্দ্রর। পারিবারিক সূত্রেও শরদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তিনি। শরদের হাতে তৈরি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও কোষাধক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন পওয়ারদের তরুণ মুখ।