Flight Delays

প্রতি ১০ যাত্রীর মধ্যে সাত জনই ভুক্তভোগী! গত এক বছর ধরে বিমান বাতিলের জেরে ভোগান্তির সমীক্ষা

১১ হাজার ২৯৬ জন বিমান যাত্রীর উপর সমীক্ষাটি করা হয়েছিল, যাঁরা নিয়মিত বিমানে যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ জানিয়েছেন, গত ১২ মাসে চার থেকে ছ’বার বিমান বাতিল হয়েছে তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৮
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

উত্তর ভারতে ঘন কুয়াশার কারণে বাতিল একের পর এক বিমান। সমীক্ষা বলছে, গত এক বছর ধরেই এ রকম পরিস্থিতির কম-বেশি মুখোমুখি হয়েছেন যাত্রীরা। একটি সংস্থার সমীক্ষা বলছে, গত ১২ মাসে প্রতি ১০ জন যাত্রীর মধ্যে সাত জনেরই অন্তত এক বার বিমান বাতিল হয়েছে বা নির্ধারিত সময়ের বদলে ভিন্ন সময়ে চলেছে। বিমান সংস্থাগুলির ‘অভ্যন্তরীণ প্রয়োগগত সমস্যা’-র কারণে এ রকম হয়েছে।

Advertisement

১১ হাজার ২৯৬ জন বিমান যাত্রীর উপর সমীক্ষাটি করা হয়েছিল, যাঁরা নিয়মিত বিমানে যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ জানিয়েছেন, গত ১২ মাসে চার থেকে ছ’বার বিমান বাতিল হয়েছে তাঁদের, অথবা দেরিতে চলেছে। ৩০ শতাংশ যাত্রী জানিয়েছেন, দু’ থেকে তিন বার তাঁরা ওই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। ২০ শতাংশ গত এক বছরে এক বার এই সমস্যার মুখে পড়েছিলেন। আরও ২০ শতাংশ যাত্রী জানিয়েছেন, গত এক বছরের তাঁরা কোনও সমস্যার মুখে পড়েননি।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ১০ জনে ন’জন যাত্রীই মনে করেন, সংস্থার অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য বিমান বাতিল বা দেরিতে চললে ভাড়ার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ তাঁদের ফেরত দেওয়া উচিত। সমীক্ষায় যাত্রীরা জানিয়েছেন, যাত্রীদের নামানোর সঠিক জায়গা পায় না বলে অবতরণের পরেও দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। যাত্রীরা মনে করেন, দেরি করানোর জন্য বিমান সংস্থাগুলির থেকে পেনাল্টি আদায় করা না হলে এ রকম পরিস্থিতি চলতেই থাকবে।

Advertisement

বিমান নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়া এবং স্পাইসজেটকে ৩০ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেছে। দৃশ্যমানতা কম থাকার সময় চালকদের সঠিক ভাবে সঠিক বিমানে নিয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ ওই পরিস্থিতিতে বিমান চালাতে যাঁরা প্রশিক্ষিত, তাঁদের চালাতে দেওয়া হয়নি। এর ফলে বিমান উড়েছে দেরিতে। যাত্রী প্রতীক্ষার সময় বৃদ্ধি পেয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement