অযোধ্যা মামলায় রায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতি। বাঁ দিক থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক ভূষণ, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আব্দুল নাজ়ির। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত সাত হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আমন্ত্রিতদের তালিকায় জুড়ল অযোধ্যা মামলায় রায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতিদের নামও। অবশ্য ওই পাঁচ বিচারপতির মধ্যে চার জনই অবসর নিয়েছেন। পঞ্চম জন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। ওই রায়ে অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি শিশু রাম বা ‘রামলালা’কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ। মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিম পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই রায় মেনেই নির্মিত হয়েছে রামমন্দির।
অযোধ্যা মামলায় রায় দেওয়া সাংবিধানিক বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, আর এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং আর এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আব্দুল নাজ়ির। তবে শুধু এই পাঁচ বিচারপতিই নন, সোমবার রামমন্দিরের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিচারব্যবস্থার উচ্চপদে থাকা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে। এই তালিকায় রয়েছেন দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা এবং প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালও।
আগামী ২২ জানুয়ারি (সোমবার) রামমন্দিরের গর্ভগৃহে ‘রামলালা’র মূর্তিতে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করা হবে। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২৮ মিনিটে ‘শুভ মুহূর্তে’ গর্ভগৃহের মূল বেদিতে ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার ‘রামলালা’র মূর্তিটিকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সোমবারের আগে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে অযোধ্যায়।