Serum Institute of India

COVID-19 Vaccine: দ্বিতীয় টিকা নিয়ে সিরামের আশ্বাস

সিরাম জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের পরে তাঁদের সংস্থার দ্বিতীয় প্রতিষেধক কোভোভ্যাক্স প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অক্টোবরে বাজারে আসতে চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২১ ০৬:৩৫
Share:

সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত।

এ দেশে জরুরি ভিত্তিতে করোনা সংক্রমণের প্রতিষেধক ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়ে আজ ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানাল জনসন অ্যান্ড জনসন। ওই প্রতিষেধকের একটি ডোজ়েই কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ দেশে প্রতিষেধকটি উৎপাদনের লক্ষ্যে ভারতীয় সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালাও আজই জানান, কোভিশিল্ডের পরে তাঁদের সংস্থার দ্বিতীয় প্রতিষেধক কোভোভ্যাক্স প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অক্টোবরে এবং ছোটদের জন্য আগামী বছরের শুরুতেই বাজারে আসতে চলেছে। আজ প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া ও পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে তিনি বলেন, ‘‘সরকার সাহায্য করছে। আমাদের আর্থিক সঙ্কট নেই। সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ।’’

Advertisement

আগে এ দেশে মানবদেহে বিদেশি টিকার অন্তত দু’টি পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতেই হত। গত এপ্রিলে সেই শর্ত পাল্টে কেন্দ্র জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছাড়পত্র পাওয়া টিকার জন্য সরাসরি এ দেশে প্রয়োগের আবেদন জানানো যাবে। সেই নীতি অনুযায়ীই আজ আবেদন জানিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

অতীতে একই নীতিতে মডার্নাকেও ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু ক্ষতিপূরণের শর্ত নিয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য না হওয়ায় এখনও ভারতের বাজারে আসেনি মডার্নার টিকা। মানবদেহে করোনা রোখার ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ শতাংশ কার্যকর জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণ নিয়ে ঐকমত্যে আসা সময়সাপেক্ষ হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

আজ দেশে মোট টিকাকরণ ৫০ কোটি ছুঁয়েছে। আগামী মাস থেকে ফি-দিন এক কোটি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের দাবি, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন, দুই প্রতিষেধকেরই আগামী দিনে উৎপাদন বাড়বে। আজ সংসদে সরকার জানিয়েছে, চলতি মাসে ১১ কোটির বদলে ১২ কোটি কোভিশিল্ড প্রতিষেধক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সিরাম। অন্য দিকে ভারত বায়োটেক ২.৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫.৮ কোটি কোভ্যাক্সিন উৎপাদনের লক্ষ্য ধার্য করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement