—ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটিরও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার রাতে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। মোদীর মতে, এতে কোভিডের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইতে বড়সড় অভিঘাত তৈরি হল।
টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক বার সরব হয়েছে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বহু রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে পাঠানো টিকা পর্যাপ্ত সংখ্যক নয় বলে দাবি তাদের। এই আবহে দেশে টিকাকরণের সংখ্যা ৫০ কোটির গণ্ডি পার করার পর স্বাভাবিক ভাবেই তা নিয়ে আসরে নেমেছে মোদী সরকার। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ টুইটারে মোদী লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইতে শক্তিশালী অভিঘাত তৈরি হল। টিকাকরণের সংখ্যা ৫০ কোটি পার করেছে। আশা করি, এর উপর ভিত্তি করে দেশবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কাজ জারি থাকবে।’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ওই ৫০ কোটির মধ্যে ঠিক কত জন প্রথম ও দ্বিতীয় টিকা পেয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি মোদী। তবে কেন্দ্রের কোউইন অ্যাপে উল্লেখিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দেশে মোট ৫০ কোটি ১০ হাজার ৪৮ জন টিকা পেয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম টিকা নিয়েছেন ৩৯ কোটি ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৪১ জন। এ ছাড়া, ১০ কোটি ৯৭ লক্ষ ২৯ হাজার ২০৭ জনের দ্বিতীয় টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
টিকাকরণ নিয়ে মোদী সরকারের ‘সাফল্যে’র খতিয়ান দিতে আসরে নেমেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়াও। স্বাস্থ্যকর্মী-সহ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে একে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘কোভিড টিকাকরণে নয়া শিখর স্পর্শ করল ভারত। এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি টিকা দেওয়ার ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়া হয়েছে।’
কতগুলি ধাপে ৫০ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে, তারও খতিয়ান দিয়েছেন মাণ্ডবিয়া। আর একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদী’জির #বিনামূল্যে সকলকে টিকাকরণ অভিযানে আজ (শুক্রবার) ৫০ কোটির সংখ্যা পার করেছে দেশ। ১০ কোটির সংখ্যা স্পর্শ করতে ভারতের ৮৫ দিন সময় লেগেছিল। ১০ থেকে ২০ কোটিতে পৌঁছতে ৪৫ দিন ব্যয় হয়েছে। ২০ থেকে ৩০ কোটি টিকা দিতে ২৯ দিন পেরিয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে ২৪ দিনে। ৪০ থেকে ৫০ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে মাত্র ২০ দিনে।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম ধাপে স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনাযোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি অথচ কো-মর্বিড ও ষাটোর্ধ্বদের টিকাকরণ হয়েছিল। ১ এপ্রিল থেকে ৪৫-এর ঊর্ধ্বে সকলকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। এপ্রিলের শেষে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে পরের মাসের প্রথম দিন থেকে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।