অটোচালকের পরিবারে সঙ্গে ওই পুলিশ অফিসার। ছবি—টুইটার।
নো-পার্কিং এলাকায় অটো রাখার জন্য এক অটোচালককে জরিমানা করেছিল নাগপুর ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু দু’হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না তাঁর। ছেলের ভাঁড়ে জমানো টাকা দিয়ে সেই জরিমানা দিচ্ছিলেন তিনি। তা দেখে দয়া হয় সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর (ট্রাফিক) অজয় মালব্যের। তিনি নিজেই ওই অটোচালকের জরিমানার টাকা মিটিয়ে দেন। সঙ্গে অটোচালককে ভবিষ্যতে ট্রাফিক আইন না ভাঙার হুঁশিয়ারিও দেন।
ওই অটোচালকের নাম রোহিত খাদসে। ৮ অগস্ট নাগপুরের ঝাঁসি রানি স্কোয়্যারের মতো নো-পার্কিং এলাকায় অটো রাখার জন্য তাঁকে জরিমানা করে পুলিশ। দেখা যায়, এর আগেও বেশ কয়েক বার জরিমানা করা হলেও সেই টাকা জমা দেননি রোহিত। সব মিলিয়ে তাঁর জরিমানার অঙ্ক দাঁড়ায় দু’হাজার টাকা। সেই টাকা না দিতে পারায় আটক করা হয় তাঁর অটো।
মাসে ৬ হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে হয় রোহিতকে। স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সংসারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে। অটো আটক থাকায় রোজগারও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতেই এগিয়ে আসে রোহিতের পাঁচ বছরের ছেলে রেহাংশ। ভাঁড়ে টাকা জমাত সে। বাবার অটোর জরিমানা মেটানোর জন্য ভাঁড় ভেঙে দেয় শিশুটি। এ নিয়ে রেহাংশ বলেছে, ‘‘ভাঁড় ভেঙে গুনে দেখি প্রায় দু’হাজার টাকা রয়েছে।’’
১০ অগস্ট রোহিত যখন জরিমানার টাকা জমানো খুচরোর মাধ্যমে দিচ্ছিলেন, তখনই অবাক হন পুলিশ অফিসার অজয়। গোটা ঘটনা শুনে তাঁর হৃদয় গলে। ভাঁড়ের টাকা রেহাংশকে ফিরিয়ে দিয়ে রোহিতের জরিমানার টাকা নিজেই দিয়ে দেন তিনি। ভবিষ্যতে ট্রাফিক আইন না মানলে শাস্তির হুঁশিয়ারিও দেন রোহিতকে।