প্রতীকী ছবি
পাঁচ বার বিয়ে করেছেন। দাম্পত্য জীবন টেকেনি। চারজন বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছেন, একজন আত্মহত্যা করেছেন। ফের একবার বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কানপুরের স্বঘোষিত ‘বাবা’। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়লেন তিনি। কানপুর থেকে অনুজ চেতন কাঠারিয়া নামে ওই ব্যক্তিকে শুক্রবার গ্রেফতার করা পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, আগের স্ত্রীয়েদের সঙ্গে আইনত বিচ্ছেদ না করেই একের পর বিয়ে করেছেন চেতন। বহু মহিলাকে ঠকিয়েছেন। শাহজাহান পুরের বাসিন্দা চেতন সম্প্রতি ষষ্ঠ বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০০৫ সলে প্রথম বিয়ে। মৈনপুরী জেলার এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় চেতনের। পাঁচ বছরের মধ্যে দায়ের হয় মামলা। ২০১০ ফের বিয়ে। বরেলি জেলার এক মহিলাকে বিয়ে করেন চেতন। তার ৪ বছর পর ঔরিয়া জেলার এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তারপর তৃতীয় স্ত্রীয়ের এক তুতো বোনকে বিয়ে করেন তিনি। সেই মহিলা, অর্থাৎ চতুর্থ স্ত্রী আত্মঘাতী হন। তিনি চেতনের আগের একাধিক বিয়ের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে পঞ্চমবার বিয়ের পিড়িতে বসেন চেতন। এ বার বিয়ের পরপরই স্ত্রীয়ের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু করেন তিনি। স্ত্রী শেষ পর্যন্ত চাকেরি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন।
পুলিশ জানিয়েছে, এরপর থেকেই পরবর্তী বিয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন চেতন। নেটমাধ্যমে নিজেকে ‘লাকি পাণ্ডে’ নামে পরিচয় দিয়ে মহিলাদের ফাঁদে ফেলতেন তিনি। বলতেন পেশায় তিনি ব্যবসায়ী, কাউকে বলতেন স্কুল শিক্ষক, কাউকে আবার তান্ত্রিক। তারপর একটি আশ্রমে ডেকে তাঁদের জীবনের সমস্যার সমাধান করার নামে শারিরীক ভাবে হেনস্থা করতেন। শুক্রবার পুলিশ যখন চেতনকে গ্রেফতার করে, তখনও তিনি আলাদা করে ৩২ জন মহিলার সঙ্গে কথা বলছিলেন।