পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সীমা হায়দার। —ফাইল চিত্র।
ক্ষমা চেয়ে এ বার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আবেদন করলেন প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সীমা হায়দার। রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর আর্জি, তাঁকে যেন সন্তানদের নিয়ে ‘শ্বশুরবাড়ি’তেই থাকতে দেওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় প্রেমিক সচিন মীনার সঙ্গে থাকার আবেদন জানিয়েছেন সীমা। শনিবার আইনজীবী মারফত পিটিশনও দাখিল করেছেন। সেখানে রাষ্ট্রপতির কাছে মামলার মৌখিক শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে। আদালতে সীমার হয়ে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী এপি সিংহ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমা তাঁর আবেদনের পিটিশনে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘মামলাকারী তাঁর স্বামী সচিনের সঙ্গে থাকতে এসে শান্তি এবং ভালবাসা খুঁজে পেয়েছেন। সচিনের বাবাকে শ্বশুর এবং মাকে শাশুড়ি হিসাবে মেনে নিয়েছেন। আপনি তাঁকে বিশ্বাস করুন এবং দয়া করুন।’’
চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল হয়ে ভারতে পৌঁছেছেন সীমা। পিটিশনে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির দয়া হলে তিনি বাকি জীবন ভারতেই তাঁর স্বামীর সঙ্গে কাটিয়ে দিতে পারবেন। নেপালের মন্দিরে হিন্দু মতে তাঁরা বিয়ে করেছেন। সীমা নিজের ধর্মও বদলে ফেলেছেন।
সীমাকে কেন্দ্র করে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কেউ কেউ বলছেন, তিনি আসলে পাকিস্তানের গুপ্তচর। সন্দেহ করা হচ্ছে, সীমা কোনও সাধারণ বধূ বা মহিলা নন, তাঁর কর্মকাণ্ড এবং জীবনের সঙ্গে অনেক রহস্যই লুকিয়ে আছে। সেই রহস্যোদ্ঘাটনে ব্যস্ত গোয়েন্দারা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন সীমা। তাঁকে যেন পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে না দেওয়া হয়, যেন ভারতেই তিনি থাকতে পারেন, সেই আবেদন জানিয়েছেন।