সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে বিবর্তনবাদ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফাইল ছবি।
ইতিহাস বই থেকে মোগল যুগ সংক্রান্ত যাবতীয় অধ্যায় বাদ দেওয়ার পর এ বার কোপ পড়ল বিজ্ঞান বইতে। সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব বাদ দেওয়া হয়েছে। যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞেরা। খোলা চিঠি দিয়ে তাঁরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির বই থেকে বিবর্তনবাদের অধ্যায়টি সম্প্রতি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিইআরটি। দেশের নানা প্রান্তের বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন। তাঁরা খোলা চিঠি দিয়ে প্রতিবাদও জানিয়েছেন। চিঠিতে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানের বোধ গড়ে তোলার জন্য বিবর্তন বিষয়ক জ্ঞান জরুরি। তা না থাকলে তাদের বিজ্ঞান শিক্ষায় খামতি থেকে যাবে। এ ভাবে শিক্ষায় বঞ্চনা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞেরা।
‘ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি’ নামে দেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী বিজ্ঞান সংগঠনের তরফে এনসিইআরটি-র উদ্দেশে খোলা চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে সিবিএসই বোর্ডের মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে ডারউইনের বিবর্তনবাদ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ১৮০০ বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইআইটি, আইআইএসইআর, টাটা ইনস্টিটিউটের মতো দেশের একাধিক প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞেরা।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘বিবর্তনের জ্ঞান শুধু বিজ্ঞান নয়, আমাদের চারপাশের পৃথিবীটাকে বোঝার জন্যেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান এবং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিকগুলি বুঝতে, সিদ্ধান্ত নিতে ডারউইনের তত্ত্ব কার্যকরী।’’
সিবিএসই-র দশমের বিজ্ঞান বইতে এত দিন নবম অধ্যায়ে ডারউইনের তত্ত্বের কথা পড়ানো হত। অধ্যায়টির নাম ছিল ‘বংশগতি এবং বিবর্তন’। বর্তমানে অধ্যায়টি থেকে বিবর্তনের বিষয় বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধ্যায়ের নতুন নাম হয়েছে ‘বংশগতি’। তার প্রতিবাদেই সরব হয়েছে বিজ্ঞান মহল।